দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে লাগাতার কমছে সংক্রমণের হার, টোটাল লকডাউন দেখাচ্ছে আশার আলো

ঠিক কীভাবে নামছে সংক্রমণের গ্রাফ? বিগত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই তা স্পষ্ট হবে

দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে লাগাতার কমছে সংক্রমণের হার, টোটাল লকডাউন দেখাচ্ছে আশার আলো
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 10:55 PM

নয়া দিল্লি: উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ ও ভয়ের মধ্যেই আশার সামান্য রুপোলি রেখা। লাগাতার লকডাউনের সুফলের ইঙ্গিত খুব ধীর গতিতে হলেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাজধানী নয়া দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে। ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে সংক্রমণের হার। আগের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে। গোড়া থেকে যে দুই রাজ্যে সংক্রমণের গতি ছিল উর্ধ্বমুখী, সেখানেই এখন দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। যা অন্যান্য রাজ্যের জন্যও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র হাতিয়ার কি তবে সম্পূর্ণ লকডাউন?

ঠিক কীভাবে নামছে সংক্রমণের গ্রাফ? বিগত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই তা স্পষ্ট হবে। প্রথমে দিল্লির কথায় আসা যাক। গত ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল দিল্লির দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজারের উপর। পজিটিভিটির হার ছিল ৩২.৬৯ শতাংশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৩৭৪ জনের। আজ অর্থাৎ ১০ মে-র বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ১২ হাজার ৬৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩১৯ জনের। পজিটিভিটির হার কমে হয়েছে ১৯.১০ শতাংশ। গত তিন সপ্তাহে প্রথমবার ২০ শতাংশের নীচে নেমেছে পজিটিভির হার। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এই পজিটিভিটির হারই ৩০ শতাংশের বেশি।

আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় প্রজাতি অত্যন্ত সংক্রামক, গোটা বিশ্বের উদ্বেগের কারণ: হু

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রেও সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। গত ৩১ মার্চের পর আজ, সোমবার প্রথম মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৩৭ হাজার ২৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে ৫৪৯ জনের। সংক্রমণের গ্রাফ কীভাবে নীচে নামছে তা বোঝাতে একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। গত ৭ মে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২২। ৮ মে সেটা কমে হয় ৫৩ হাজার ৬০৫ এবং ৯ মে তা দাঁড়ায় ৪৮ হাজার ৪০১-এ।

আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টাতেই কামাল, করোনা অতিমারিতে ইতি টানতে পারে পরিচিত এই ওষুধ