Health System in India: রাস্তা দেখাল কে? বিপ্লবের মুখে ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো!
Health care: দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালগুলি সরকারি ভর্তুকি, দাতব্য অনুদান অথবা বিমা থেকে প্রাপ্ত টাকার মাধ্যমে নয় বরং রাজস্বের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে।
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের আগমন ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দিয়েছে। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের স্বাস্থ্য অন্যতম প্রধান সমস্যা, যার অন্যতম কারণ প্রচুর জনসংখ্যা। তবে ভারতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি আয়ুর্বেদের মতো প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থাও রয়েছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে অমিল। প্রচুর মানুষ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি প্রথাগত চিকিৎসাতেও আস্থা রাখেন। ভারতেক ওষুধেরও নানা বৈচিত্র রয়েছে। ভারতের ওষুধ শিল্প গোটা বিশ্বে তৃতীয় এবং আর্থিক দিক থেকে ১৪ তম স্থানে রয়েছে। দেশের গোটা বছরের ওষুধ থেকে প্রায় ২,৮৯,৯৯৮ কোটি টাকার ব্যবসা হয়, ২০১৯-২০ সালের পরিসংখ্যান অন্তত এমনটাই বলছে।
এইমসের প্রাক্তন অধিকর্তা চিকিৎসক এমসি মিশ্র বলেন, “বেসরকারি ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত। এখন সরকরারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ প্রয়োজন। জানুয়ারি ২০২২ অনুযায়ী, গোটা দেশে ১৯ টি এইমস চালু হয়ে গিয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে আরও ৫ টি হাসপাতাল চালু হয়ে যাবে। দেশে ৫৪২ টি মেডিক্যাল কলেজ এবং ৬৪ টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েনট ইনস্টিটিউট রয়েছে। প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে কমপক্ষে ৭৫০ টি বেড রয়েছে, এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র এবং জেলা হাসপাতাল গুলি তো রয়েছেই, তারা অনেকেই ভালভাবে কাজও করছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।”
দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালগুলি সরকারি ভর্তুকি, দাতব্য অনুদান অথবা বিমা থেকে প্রাপ্ত টাকার মাধ্যমে নয় বরং রাজস্বের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে। কিন্তু করোনা অতিমারির আগমন ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অনেক বেশি উন্নত করেছে। করোনা পরবর্তী পর্যায়ে দেশের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যেভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর জোর দিয়েছে, তা এর আগে কখনই হয়নি। গ্লোবাল কোভিড ভার্চুয়াল সামিটে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ভারতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের যে কাজ চলছে, তা পার্শ্ববর্তী দেশগুলিও লাভবান হবে।
তিনি বলেছিলেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য দেশের ইনসাকগ তৈরি করা হয়েছিল যা কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিক্রিয়া ফেলে তা বোঝা সম্ভব হবে। এছাড়া করোনা পরবর্তী সময়ে পি এম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা থেকে বিভিন্ন সরকারি হাসাপাতালে পরিকাঠানো নির্মাণ থেকে শুরু করে অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ সব কিছুই হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে গোটা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি এগিয়ে গিয়েছে। দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৯৪ শতাংশই করোনা টিকার একটি এবং ৮০ শতাংশ দুটি ডোজ় পেয়ে গিয়েছে।