টিকাকরণের দৌড়ে লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নেই বাংলা, সবথেকে এগিয়ে ও পিছিয়ে কোন রাজ্যগুলি জানেন?

COVID-19 Vaccination Rate: দেশের গড় টিকাকরণের হার ৫৪ শতাংশ। যদি এই গতিতেই টিকাকরণ চলতে থাকে, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হওয়া অসম্ভব।

টিকাকরণের দৌড়ে লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নেই বাংলা, সবথেকে এগিয়ে ও পিছিয়ে কোন রাজ্যগুলি জানেন?
করোনা টিকাকেন্দ্রে লম্বা লাইন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 9:17 AM

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যে হারে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ, তাতে সময়ের আগেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহতা এড়ানোর একমাত্র হাতিয়ার টিকাকরণ। তবে ক্রমশই লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশ। কোনও রাজ্যে দেখা গিয়েছে টিকার ঘাটতি, কোথাও আবার লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারছে না রাজ্যগুলি। টিকাকরণে বাংলার হালও শোচনীয়। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬৬ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দৈনিক রাজ্যভিত্তিক টিকাকরণের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়, তা বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে যে, কেরল, দিল্লি টিকাকরণে সবার আগে এগিয়ে রয়েছে। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থান রয়েছে পিছনের সারিতে। রাজ্যের জনসংখ্য়ার ভিত্তিতে টিকাকরণের হার তুলনা করে কতটা পিছিয়ে বা এগিয়ে রয়েছে রাজ্য, তা যাচাই করা হয়।

দেখা গিয়েছে, কেরল ও দিল্লি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২২ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। এ দিকে বিহারে টিকাকরণের হার এতই কম যে লক্ষ্যমাত্রায় ৭১ শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গও ৬৬ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে।

দেশের গড় টিকাকরণের হার ৫৪ শতাংশ। যদি এই গতিতেই টিকাকরণ চলতে থাকে, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হওয়া অসম্ভব। মূলত বড় রাজ্যগুলি, যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি জনসংখ্যা, সেখানেই টিকাকরণের হার সবচেয়ে কম দেখা গিয়েছে।

কেরল ও দিল্লি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকলেও জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য়ের ৬০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়া আপাতত অসম্ভবই লাগছে।

অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে পঞ্জাব টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৬ শতাংশ, কর্নাটক ৩০ শতাংশ ও গুজরাট ৩৭ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। তুলনামূলকভাবে দেশের বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় এই রাজ্যগুলিতেও দিল্লি, কেরলের মতো বেশি জনসংখ্যা হলেও তারা টিকাকরণে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।

যে পাঁচ রাজ্য টিকাকরণে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থান ছাড়াও উত্তর প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের নামও রয়েছে। যোগীরাজ্য টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৬৪ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে ঝাঢ়খণ্ড ৬২ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। ঝাঢ়খম্ডের তরফে বারংবার টিকাঘাটতি ও অর্থসমস্যার কথা বলা হলেও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও টিকাকরণে বরাবর শেষ সারিতেই রয়েছে।

শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা ৩৬ কোটির গণ্ডি পার করেছে। এরমধ্যে ১১ কোটি ডোজ় ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের দেওয়া হয়েছে, বাকি টিকা পেয়েছে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও স্বাস্থ্যকর্মী-প্রথমসারির যোদ্ধারা।