Dilip Ghosh: ‘বেলেল্লাপনা আমাদের সংস্কৃতি নয়’, ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ নিয়ে কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?

Cow is a cultural heritage of India, says Dilip Ghosh: এবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকারের পক্ষ পশু কল্যাণ মন্ত্রক 'গরু আলিঙ্গন দিবস' হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে কী বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম বর্ষিয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ?

Dilip Ghosh: 'বেলেল্লাপনা আমাদের সংস্কৃতি নয়', 'গরু আলিঙ্গন দিবস' নিয়ে কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?
এর আগে গরুর দুধে সোনা আছে বলে রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 9:11 PM

কলকাতা: গোটা বিশ্ব ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে পালন করে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা প্রেম দিবস হিসেবে। তবে, এবার ভারত সরকারের পক্ষ পশু কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দিনটির অন্য তাৎপর্য তৈরি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিনটিকে ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ হিসেবে পালন করার। নির্দেশে বলা হয়েছে, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে ভারতের বৈদিক সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে চলেছে। পাশ্চাত্যের চাকচিক্যে দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ভুলতে চলেছে সকলে। এই অবস্থায় গোমাতার মূল্য স্মরণ করে গরু আলিঙ্গন দিবস পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশ হইচই ফেলে দিয়েছে সারা দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয়েছে এই বিষয়ে মিম এবং জোক। এই বিষয়ে কী বলেছেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম বর্ষিয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ?

এর আগে গরুর দুধে সোনা আছে বলে রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় পশু কল্যান মন্ত্রকের এই নয়া নির্দেশিকাকেও তিনি সমর্থন করেছেন। এই বিষয়ে দিলীপ বলেছেন, “ভারতবর্ষের সংস্কৃতি পরম্পরার একটা মানবিন্দু হচ্ছে গরু। যারা বিদেশ থেকে সংস্কৃতি নিয়ে আসছেন, ভ্যালেন্টাইন ডে করে, ক্লাবে, রাস্তায় বা পার্কে এই ধরনের বেলেল্লাপনা করছেন, সেটা আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। অনেকের এতে আপত্তিও আছে। কিন্তু ব্যবসার খাতিরে গত কয়েক বছর ধরে এটাকে হাওয়া দেওয়া হয়েছে।”

বস্তুত, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারংবারই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে গরু। কখনও সরকারি অর্থে তৈরি করা হয়েছে গোশালা, কখনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে গরুর মাংস ভক্ষণ। করোনা মহামারির সময়, বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের পাশাপাশি মোদী সরকারের মন্ত্রীরাও কেউ কেউ করোনার দাওয়াই হিসেবে গোমূত্র এবং গোবর খাওয়ার নিদানও দিয়েছিলেন। এবার এল গরুকে আলিঙ্গন করার কর্মসূচি।

পশু কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গরুকে আলিঙ্গন করা ‘ভারতীয় সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড’। তারা আরও বলেছে, “গরুকে আলিঙ্গন করলে আমরা মানসিকভাবে সমৃদ্ধ বোধ করব। এটা, আমাদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক – দুই সুখই বাড়িয়ে তুলবে। তাই, সমস্ত গরুপ্রেমীদের গোমাতার মূল্য এবং তাদের সুখ এবং ইতিবাচক শক্তির অবদানের কথা স্মরণ করে, ১৪ ফেব্রুয়ারি গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।”