করোনাকে বাগ মানাতে একাধিক জেলায় কার্ফু, লকডাউন না চাইলেও ‘বাধ্য’ মুখ্যমন্ত্রী

আজ থেকে মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-র হিঙ্গোলি (Hingoli) জেলাতে জারি করা হয়েছে কার্ফু (Curfew)। আগামী ৭ মার্চ অবধি জারি থাকবে এই নির্দেশিকা। পাশাপাশি পুণে(Pune)-তেও ১৪ মার্চ অবধি জারি থাকবে কার্ফু।

করোনাকে বাগ মানাতে একাধিক জেলায় কার্ফু, লকডাউন না চাইলেও 'বাধ্য' মুখ্যমন্ত্রী
পুণেতে জারি হয়েছে কার্ফু। ফাঁকা রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট।
Follow Us:
| Updated on: Mar 01, 2021 | 2:41 PM

মুম্বই: প্রতিনিয়তই রাজ্যে আট হাজারের গণ্ডি পার করছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন (Lockdown) ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “নিজে লকডাউন জারি করতে না চাইলেও অসহায় তিনি।”

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে উর্ধ্বমুখী হয়েছিল করোনা (COVID-19) সূচক। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে বলেছিলেন, “মাস্ক পড়ুন, নাহলে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হব।” সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের পাশাপাশি ফের একবার জরিমানা আদায়ও শুরু করে রাজ্য প্রশাসন। তবুও বাগ মানছে না করোনা।

গতকালও রাজ্যে নতুন করে আট হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতেই মুম্বইয়ের একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্যে লকডাউন জারি করতে চাই না। কিন্তু অসহায় বা বাধ্য হওয়াও একটি বিষয়।” অর্থাৎ সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে লকডাউন জারি করতে পারেন।

Curfew: pune Police surveillance

রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাকিদের টিকা নেওয়ার উপদেশ দিলেও নিজেই নেবেন না দ্বিতীয় ডোজ়, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এদিকে, একাধিক জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় কোথাও লকডাউন (Lockdown), কোথাও বা কন্টেনমেন্ট জ়োন (Containment Zone) ঘোষণা করছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। অমরাবতী (Amravati), আকোলা(Akola), যাভতমল(Yavatmal), পুণে(Pune)-র পর এবার হিঙ্গোলি (Hingoli) জেলাতেও কার্ফু জারি করা হল। আগামী ৭ মার্চ অবধি এই কঠোর নির্দেশিকা জারি থাকবে। পুণেতেও ১৪ মার্চ অবধি জারি করা হয়েছে কার্ফু।

শনিবার বিকালেই হিঙ্গোলির জেলা শাসক রুচেশ জয়বংশী একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেন, সোমবার সকাল থেকে জেলায় কার্ফু জারি করা হবে এবং ৭ মার্চের মধ্যরাত অবধি এই কার্ফু জারি থাকবে। সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পেট্রল পাম্প সহ জরুরি পরিষেবাগুলি অব্যাহত থাকলেও স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় স্থান ও অনুষ্ঠানস্থলগুলি বন্ধ থাকবে। দুধ ও অত্যাবশকীয় সামগ্রীর দোকানগুলি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি খোলা থাকবে।

পেট্রল পাম্পগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারি গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই যেন জ্বালানি দেওয়া হয়। হোম ডেলিভারি পরিষেবা ও হোটেলগুলিকেও কেবল পার্সেল পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই পরিষেবা সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৭টা অবধি চালু থাকবে।

অমরাবতীতেও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আকোলা, যাভতমল সহ একাধিক জেলাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করেছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে গত সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল, মহারাষ্ট্রে লকডাউন করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে আগামী ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে ঢুকতে পুলিশি বাধা, বিমানবন্দরের মেঝেতে বসেই প্রতিবাদ চন্দ্রবাবু নাইডুর