Cyber Attack: অযোধ্যার রাম মন্দিরে চিন-পাকিস্তানের সাইবার হামলা! এই ভাবে ঠেকাল মোদী সরকার
Cyber Attack on Ram Mandir: রাম মন্দিরে সাইবার হমলা। হামলা চালিয়েছে চিন ও পাকিস্তানের হ্যাকাররা। রাম মন্দিরের পাশাপাশি, প্রসার ভারতী এবং উত্তর প্রদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলিকেও নিশানা করা হয়েছিল। কীভাবে সেই হামলা প্রতিহত করল মোদী সরকার?
নয়া দিল্লি: অযোধ্যার রাম মন্দিরকে নিশানা করেছিল চিন-পাকিস্তান। গোটা জানুয়ারি মাস ধরে মাথা তোলার সময় পাননি ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। বিশেষ করে সাইবার সুরক্ষার দায়িত্বের থাকা সংস্থাগুলির কর্মীরা। ইকোনমিক টইমস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়, চিন-পাকিস্তানের হ্যাকার এবং সাইবার অপরাধীরা ক্রমাগত রাম মন্দির, প্রসার ভারতী এবং উত্তর প্রদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করেছিল। নিরাপত্তা কর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই সাইবার হামলা প্রতিহত করতে ১২৪৪টি আইপি অ্যাড্রেস ব্লক করতে হয়েছিল ভারতকে। এর মধ্যে ৯৯৯টি ছিল শুধুমাত্র চিনের। বাকিগুলির অধিকাংশ আইপি অ্যাড্রেস ছিল পাকিস্তানের। এছাড়া, হংকং এবং কম্বোডিয়া থেকেও রাম মন্দিরের ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২২ জানুয়ারি। ওই সময় নগাদ এই ধরনের হামলার তীব্রতা বেড়েছিল।
তবে, বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি চিনা-পাক সাইবার অপরাধীরা। চিন-পাকিস্তানের সাইবার অপরাধীরা নিয়মিত ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে। তবে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় এই হামলা আরও বাড়বে বলে, আগে থেকেই অনুমান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই, আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। টেলিকম সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার, অযোধ্যা রাম মন্দির, প্রসার ভারতী, উত্তর প্রদেশ পুলিশ, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন পর্যটনস্থল, পাওয়ার গ্রিড-সহ প্রায় ২৬৪টি ওয়েবসাইটের উপর কড়া নজর রাখা হয়েছিল। মূল অনুষ্ঠান ছিল ২২ জানুয়ারি। কিন্তু, তার আগে-পরেও ডিজিটাল সম্পদগুলি সুরক্ষিত রাখার জন্য ৭দিনের এক অভিযান পরিকল্পনা করা হয়।
পর্যবেক্ষণের সময় দেখা যায়, রাম মন্দির এবং প্রসার ভারতীর ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে প্রায় ১৪০টি সন্দেহজনক আইপি অ্যাড্রেস থেকে। এই অ্যাড্রেসগুলি শনাক্ত করার পর, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ওই আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও ২১ জানুয়ারি থেকে সাইবার ক্ষেত্রে হামলার মাত্রা বেড়েছিল। ফলে আরও অনেকগুলি আইপি অ্যাড্রেস ব্লক করতে হয়, সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১২৪৪। এতগুলি আইপি অ্যাড্রেস ব্লক করার পর, সাইবার হামলার মাত্রা কমেছিল। তবে, পুরোপুরি হাল কখনই চাড়েনি সাইবার অপরাধীরা। শুধু বিদেশ নয়, দেশের মধ্য থেকেও ডিজিটাল তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, ,সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতেই এই সাইবার-আক্রমণগুলির মোকাবেলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ, হামলার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। সাইবার হামলা ঠেকানোর পাশাপাশি, ডিজিটাল তথ্য ব্যবহার করে মানুষের ভিড়ও সামলিয়েছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। এর জন্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করেছে বিভাগ। রাম মন্দির চত্বরে অস্থায়ী মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা করার জন্যও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছিল। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, শুধু অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়ই নয়, জি২০ সম্মেলনের সময়ও ডিজিটাল পরিকাঠামো রক্ষার্থে একই রকমের কৌশল নেওয়া হয়েছিল।