Cyclone Gulab Update: রাতেই শুরু গুলাবের তাণ্ডব, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু তিনজনের
Death in Cyclone Gulab: কয়েক ঘণ্টা আগেই অর্থাৎ রবিবার সন্ধেয় আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন গুলাব। এখনও পর্যন্ত এই ঝড়ে ওড়িশায় একজনের ও অন্ধ্র প্রদেশে দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভুবনেশ্বর: সাইক্লোনের গতিবিধি আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। রবিবার সন্ধেয় সেই সাইক্লোন ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab) প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে উপকূলে। মূলত ও ওড়িশা (Odisha) ও অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) উপকূলে তাণ্ডব শুরু করেছে সেই ঝড়। রবিবার সন্ধেয় সেই তাণ্ডব লীলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, অন্ধ্র প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর (Fisherman)।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ল্যান্ডফলের পরই কোরাপুট ও মালকানগিরির দিকে এগিয়ে যায় সাইক্লোন। প্রবল ঝড়ের গতি ও বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি হবে মালকানগিরি, কোরাপুট, গঞ্জাব, গজপতি, রায়গড় জেলায়। আজ, সোমবার বিকেল থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ল্যান্ডফলের শুরুতেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোসানিনুগাঁও ব্লকে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, মালকানগিরির খারপুট ব্লকে একটি বড় গাছ পড়ে গিয়েছে ঝড়ে। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে একটি পরিবার। তাঁদের বাড়ির ওপরে গাছটি পড়ে যায়। কোনোরকমের বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। ইয়াসের পর চার মাসও কাটেনি আবারও সাইক্লোনের ঝাপট ওড়িশার বুকেও পড়তে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানান, সাতটি হাইরিস্ক জেলা রয়েছে। গঞ্জম, গজপতি, কান্ধামাল, কোরাপুট, রায়গড়, নবরঙ্গপুর ও মালকানগিরি।
এ দিকে, নৌকায় থাকা দুই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে। মান্দাসা উপকূলের কাছে একটি নৌকা উল্টে সমুদ্রের জলে পড়ে যান ৫-৬ মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে তিনজন নিরাপদে উপকূলে উঠে আসেন। কিন্তু দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, এক মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীদের মধ্যেই একজন তাঁর বাড়িতে ফোন করে নৌকা উল্টে যাওয়ার খবর দেন। কিন্তু পরে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি সমুদ্রেই নিখোঁজ বলে অনুমান।
অন্ধ্রপ্রদেশের ঝড়ের মোকাবিলা করতে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের টিম। উপকূলবর্তী তিন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে তাদের। শ্রীকাকুলামে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ওডিশার উপকূল থেকে ৩৯,০০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দিকে, সাইক্লোনের গুলাবের জন্য ৩৪ জোড়া ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৩টি ট্রেনের সময় বদলাও হয়েছে ও ১৭টি ট্রেনের রুট বদলে দেওয়া হয়েছে।
কমপক্ষে ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪২টি দল ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ২৪টি স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ারফাইটারদেরও ১০০টি দল তৈরি। কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিনদিন উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ফলে ওড়িশা, বাংলা ও অন্ধ্র প্রদেশে মৎস্যজীবীরা যেন কোনও ভাবেই সমুদ্রে না যান। রবিবার সন্ধ্যায় টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লেখেন, অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সকলের নিরাপত্তা কামনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: কেন ক্লান্ত হন না মোদী! দীর্ঘ বিমান সফর, ম্যারাথন বৈঠক, সামনে এল আসল গোপন রহস্য