আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাসের পিছনে লুকিয়ে নিম্নমুখী টিকাকরণের গতি ও পরীক্ষার হার, বড় বিপদের আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লি সহ একাধিক রাজ্য ফের একবার টিকার ঘাটতির কথা উল্লেখ করেছে। মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকার অভাবে।

আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাসের পিছনে লুকিয়ে নিম্নমুখী টিকাকরণের গতি ও পরীক্ষার হার, বড় বিপদের আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা
টিকা নেওয়ার লম্বা লাইন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2021 | 10:33 AM

নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে হঠাৎই কমতে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই খবরে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, টিকাকরণের মন্থর গতি ও কম সংখ্যক পরীক্ষার কারণেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আচমকা হ্রাস পেয়েছে। তবে এই গাফিলতির কারণে যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ, যেখানে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।

গত মাসের তুলনায় বিগত চার সপ্তাহ ধরে টিকাকরণের হারে যে পতন হয়েছে, তা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। ৩২.৭ লাখ থেকে টিকাকরণ সরাসরি ৬.৯ লাখে নেমে এসেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১.৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০.৮ লাখ মানুষ টিকা পান। এই হারেই টিকাকরণ চললে গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের টিকাকরণের জন্যই আরও তিন বছর লেগে যাবে। সরকার ডিসেম্বরের শেষ ভাগের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকাকরণের যে লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে, তা পূরণের জন্য প্রতিদিন ৮০.৯৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন।

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লি সহ একাধিক রাজ্য ফের একবার টিকার ঘাটতির কথা উল্লেখ করেছে। মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকার অভাবে। অধিকাংশ রাজ্যেই টিকা পাচ্ছেন না ১৮ উর্ধ্ব ব্যক্তিরা।

রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি অনুমোদন পেলেও আপাতত দেশবাসীকে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের উপরই ভরসা করে থাকতে হচ্ছে। দুই সংস্থার তরফেই জানানো হয়েছে, টিকা উৎপাদনে যথাসম্ভব গতি আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী জুলাই বা অগস্ট মাস থেকেই অতিরিক্ত হারে টিকা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও।

এদিকে, করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ৭৫ শতাংশ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে গত সপ্তাহ অবধি সংক্রমণের হার ৫৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কমেছে করোনা পরীক্ষার হার। দেশে প্রতিদিন ৩৩ লক্ষ করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা থাকলেও গড়ে ১৮ লাখ মানুষেরই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের পরীক্ষা করার ক্ষমতার ৪৫ শতাংশ ব্যবহারই করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ টিকাপ্রাপ্ত! বুক হচ্ছে না স্লট, টিকা নিতে নাজেহাল অসমের যুব সম্প্রদায়ও