Delhi Air Pollution: বাড়ছে বিষ-কণা, সূচক বলছে রাজধানীর বাতাস ‘বিপজ্জনক’
Delhi's air quality index: সকাল থেকে খারাপ হতে শুরু করেছে দিল্লির বায়ুর মান। বাজি ফাটলে পরিণতি আরও খারাপ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়া দিল্লি : বায়ুদূষণ (Air Pollution) দিল্লির জন্য অপরিচিত নয়। প্রত্যেকবারই দীপাবলি (Diwali) এলেই ভয় ধরায় বাতাসের বিষকণা। এবারও তার ব্য়তিক্রম নয়। সকাল থেকেই যে ভাবে বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করেছে, তাতে বাজি পোড়ালে কী অবস্থা হবে তা ভেবেই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। বায়ুর মান ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) স্তরে পৌঁছেছে। তালিকায় নয়ডা (Noida) রয়েছে সবার ওপরে। সকালেই বায়ুর গুণমানের (Air Quality) সূচক ছিল নয়ডায় ৫২৬, দিল্লির পুসা রোডে সেই সূচক ছিল ৫০৫। কার্যত সিমেন্টের মতো ধূসর রঙ ধারণ করেছে দিল্লির আকাশ।
বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লির বায়ুর গুণমানের অত্যন্ত অবনতি হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাতে বাজি পোড়ালে অবস্থা আরও খারাপ হবে। সকাল ৮ টায় গুণমানের সূচক ছিল ৩১৪, মঙ্গলবার সেই সূচক ছিল ৩০৩ ও সোমবার ছিল ২৮১। দীপাবলির বিকেলে ‘খুব খারাপ’ ছিল বাতাসের অবস্থা। যদিও দিল্লিতে আতসবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে আতসবাজি বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে অনেক জায়গায়।
সাধারণত, ০ থেকে এবং ৫০- এর মধ্যে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) থাকলে সেটা ‘ভাল’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০- মধ্যে থাকার অর্থ ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে গণ্য় হয়। ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তা ‘খারাপ’ ও ৩০১ থেকে ৪০০ মধ্যে থাকলে তা ‘অত্যন্ত খারাপ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
মনে করা হচ্ছে, প্রবল বৃষ্টিপাত এবং অন্যান্য কারণে দিল্লিতে দূষণ কিছুটা কমেছে। গত মাসে বাসিন্দারা কমপক্ষে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সতর্ক করছে যে নভেম্বরে বায়ুর গুণমান ফের দ্রুত গতিতে হ্রাস পাবে। আতসবাজির জন্য ৫ থেকে ৬ নভেম্বর বায়ুর অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দূষণে কার্যত দমবন্ধ অবস্থা দিল্লির। এমনকি গত বছরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু আন্তর্জাতিক একটি পরিবেশ সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কেবল দেশই নয়, বিশ্বের নিরিখেও সবচেয়ে দূষিত রাজ্য হল দিল্লি। গত বছরে বায়ুদূষণের কারণেই রাজধানীতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ হাজার মানুষ।
দিন কয়েক আগেই কালীপুজো ও দীপাবলিতে সব ধরনের বাজি পোড়ানোর ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু কালীপুজোই নয়, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় চলতি বছরের সব উৎসবেই বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের যুক্তি ছিল, করোনাভাইরাস নিয়ে আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এখনও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই অবস্থায় বাজি পোড়ালে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের কাছে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায়ও নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানের অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত সকালে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াল মোদীর কনভয়! সামান্য নিরাপত্তা নিয়েই রাস্তায় বেরলেন প্রধানমন্ত্রী