Arvind Kejriwal sent to judical custody: স্বস্তি মিলল না, জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরীকে
Arvind Kejriwal sent to judical custody: তিনদিনের হেফাজত শেষে এদিন অরবিন্দ কেজরীবালকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, তদন্তের স্বার্থে কেজরীবালকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। তদন্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা করছেন না। উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন।
নয়াদিল্লি: জামিন পেলেন না। ফেরে জেলে যেতে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীবালকে ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিনদিনের সিবিআই হেফাজত শেষে এদিন আদালতে তোলা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশেষ বিচারক সুনেনা শর্মা কেজরীবালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীবালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে আবগারি নীতিতে বেনিয়মের তদন্তে কেজরীবালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনদিনের হেফাজতে নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনদিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, তদন্তের স্বার্থে কেজরীবালকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। তদন্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা করছেন না। উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন।
কেজরীবালকে জামিন দিলে তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কার কথা জানিয়ে সিবিআই বলে, “উনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। ছাড়া পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। প্রমাণ লোপাট করতে পারেন এবং তদন্ত প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।” ২ পক্ষের বক্তব্য শোনার কেজরীবালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আপ অবশ্য প্রথম থেকে অভিযোগ করে আসছে, মিথ্যে মামলায় বিরোধীদের হেনস্থা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। ঠিক লোকসভা ভোটের সময় তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন কেজরীবালও। লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। প্রচারে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে বারবার নিশানা করেছেন বিজেপিকে।