AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্রেতারা QR Code স্ক্যান করে পেমেন্ট করছেন, এদিকে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা! আপনার সঙ্গেও এমন প্রতারণা হচ্ছে না তো?

QR Code Fraud: হঠাৎ এক দোকানির খেয়াল হয়, ব্যবসাপাতি হলেও, ব্যাঙ্কের অ্য়াকাউন্টে তো কোনও টাকা জমা পড়ছে না। তাহলে সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়? আশেপাশের দোকানদারদের জিজ্ঞাসা করলে, তারাও নিজেদের অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, সত্যিই তো। বিগত কয়েকদিন ধরে অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা পড়েনি।

ক্রেতারা QR Code স্ক্যান করে পেমেন্ট করছেন, এদিকে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা! আপনার সঙ্গেও এমন প্রতারণা হচ্ছে না তো?
ফাইল চিত্র।Image Credit: X
| Updated on: Jan 13, 2025 | 8:01 AM
Share

ভোপাল: যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রতারণার নতুন নতুন নানা পন্থা সামনে আসছে। বর্তমানে নগদ টাকায় লেনদেন অনেকটাই কমে গিয়েছে। অনলাইন পেমেন্টেই যাবতীয় লেনদেন হয়। আর এই অনলাইন পেমেন্টের চক্করেই বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। এবার সামনে এল নয়া এক প্রতারণা চক্র। কিউআর কোড স্ক্যানারের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার বহু দোকানি-ব্যবসায়ী।

মধ্য প্রদেশের খাজুরাহো। অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্রের আশেপাশে রয়েছে বহু দোকানপাট। গ্রাহকদের জন্য ও ব্যবসার সুবিধাতেই দোকানগুলির বাইরে লাগানো কিউআর কোড। যা কেনাকাটা করবেন, কোড স্ক্যান করেই পেমেন্ট হয়ে যাবে। কিন্তু হঠাৎ এক দোকানির খেয়াল হয়, ব্যবসাপাতি হলেও, ব্যাঙ্কের অ্য়াকাউন্টে তো কোনও টাকা জমা পড়ছে না। তাহলে সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়? আশেপাশের দোকানদারদের জিজ্ঞাসা করলে, তারাও নিজেদের অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, সত্যিই তো। বিগত কয়েকদিন ধরে অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা পড়েনি। তাহলে এত ব্যবসার টাকা গেল কোথায়?

দোকানদাররা নিজেরাই তদন্তে নামেন। দোকানের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ। টাকা আসবে কী করে? রাতারাতি বদলে গিয়েছে যে কিউআর কোডই। ফুটেজে দেখা গেল, রাতের অন্ধকারে একদল প্রতারক এসে দোকানের বাইরে লাগানো কিউআর কোডের উপরে অন্য কিউআর কোড সাঁটিয়ে দিচ্ছে। ফলে পরেরদিন থেকেই ক্রেতারা কেনাকাটি করে অনলাইনে টাকা দিলেও, তা দোকানির নয়, বরং ওই প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে।

ওষুধের দোকান থেকে পেট্রোল পাম্প, প্রায় আধ ডজন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই এমন প্রতারণার শিকার হয়েছে। প্রথমে ওষুধের দোকানের এক নিয়মিত গ্রাহকই দোকানিকে সতর্ক করেন যে  কিউআর কোড স্ক্যান করলে অন্য কারোর নাম দেখাচ্ছে। এরপর পেট্রোল পাম্পেও একই ঘটনা ঘটলে, এক কর্মী নিজেই কিউআর কোড স্ক্যান করেন। দেখেন, ছোটু তিওয়ারি নামক কোনও এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে সমস্ত টাকা।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণার খবর মিললেও দোকানিরা অফিসিয়াল অভিযোগ দায়ের করেনি এখনও। পুলিশ নিজেই তদন্ত শুরু করেছে।