Kejriwal writes to Modi: ‘করোনা বাড়ছে, ডাক্তারদের হাসপাতালে থাকা উচিত, রাস্তায় নয়’
Resident Doctors Protest: পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেজরি লিখেছেন, "করোনা আবার বাড়ছে। ডাক্তারদের হাসপাতালে থাকা উচিত, রাস্তায় নয়।"
নয়া দিল্লি : কোমর ভেঙেছে রাজধানীর স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। স্টেথোস্কোপ ছেড়ে রাজপথের দখল নিয়েছেন চিকিৎসকরা। আন্দোলন চলছে। সফদারজং হাসপাতাল, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জিবি পান্ত একের পর এক হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়েছে চিকিৎসকদের বিক্ষোভের (Doctors Protest in Delhi) আঁচ। কেবল বহির্বিভাগ ছাড়া প্রায় অচল হয়ে পড়েছে দিল্লির বড় বড় সরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র থেকে শুরু করে দিল্লি সরকার। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi CM Arvind Kejriwal)।
চিকিৎসকদের জায়গা হাসপাতালে, রাস্তায় নয়
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেজরিওয়াল লিখেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন করোনার সংক্রমণ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, এই কঠিন সময়ে চিকিৎসকদের জায়গা হাসপাতালে, রাস্তায় নয়। নরেন্দ্র মোদী যাতে ব্যক্তিগতভাবে এই সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেন, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে তিনি অনুরোধ করেছেন, যাতে স্নাতকোত্তর নিট পরীক্ষার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত করা যায়, সেই বিষয়টিও যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।
চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার আর্জি
কেজরিওয়াল চিঠিতে লেখেন, “একদিকে, করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকরা ধর্মঘট করছেন।” নিজের টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির অনুলিপিও শেয়ার করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে লিখেছেন, “আমরা চিকিৎসকদের উপর পুলিশি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত তাদের দাবি মেনে নিতে হবে।”
স্নাতকোত্তর নিট পরীক্ষার কাউন্সেলিংয়ে দেরি হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলির আবাসিক চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দিল্লির আবাসিক চিকিৎসকরা বিশাল সংখ্যায় সফদরজং হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় হাসপাতালের বাইরে।
সোমবার রাতেও পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েছিলেন আবাসিক চিকিৎসকরা। পুলিশের সঙ্গে এক প্রস্থ ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়েছিল। দিল্লির সরোজিনি থানার বাইরে ঘেরাও করেছিলেন চিকিৎসকরা। এবার মঙ্গলবার ফের একবার পুলিশি বাধা। চিকিৎসকদের উপর পুলিশি ‘জুলুমের’ প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে সামিল হয়েছেন দিল্লি এইমসের চিকিৎসকরাও। দিনভর চূড়ান্ত নাটকীয়তা। উভয় পক্ষেরই দাবি, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এরই মধ্যে মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বিক্ষুব্ধ আবাসিক ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে তাঁদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে কেজরিওয়াল লিখেছেন, চিকিৎসকরা বেশ কয়েক দিন ধরে ধর্মঘট করছেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিমারির সময় দেশের সেবা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে “ব্যক্তিগতভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যার সমাধান করার” অনুরোধ করেছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেজরি লিখেছেন, “করোনা আবার বাড়ছে। ডাক্তারদের হাসপাতালে থাকা উচিত, রাস্তায় নয়।”