Manish Sisodia: ‘দুর্নীতি করিনি, তাই ভয় পাচ্ছি না’, ১৪ ঘণ্টা বাদে সিবিআই যেতেই মুখ খুললেন সিসোদিয়া
CBI Raid in Manish Sisodia's House: সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা এফআইআরে মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মদের দোকান খোলার লাইসেন্সের জন্য একজন ব্যবসায়ী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির সংস্থায় নগদ ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লি: সকালে বাড়ির দরজায় কড়া নেড়েছিল সিবিআই, তারা যখন বেরলেন তখন রাত হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পরই সিসোদিয়া দাবি করেন, তিনি কোনও দোষ করেননি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এইভাবে ভয় দেখিয়ে আপ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রাখা যাবে বলেই জানান তিনি। এদিকে, দিল্লির শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টার তল্লাশির পর সিবিআই আধিকারিকরা বেশ কয়েকটি মোবাইল ও কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আপ সরকারের আনা দিল্লির আবগারি নীতি নিয়েই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। শুক্রবার এই মামলার তদন্তেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি সহ সাতটি রাজ্য মিলিয়ো মোট ৩১ জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। নতুন আবগারি নীতিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং তার থেকে সরাসরি লাভবান হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্য়মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, যার কাঁধেই আবগারি দফতর সামলানোর দায়িত্ব রয়েছে, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। গতকালের তল্লাশিতে সিবিআই আধিকারিকেরা বেশ কিছু এমন নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে, যেখানে কয়েক দফায় কোটি কোটি টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা এফআইআরে মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মদের দোকান খোলার লাইসেন্সের জন্য একজন ব্যবসায়ী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির সংস্থায় নগদ ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এই পুরো টাকাটাই মণীশ সিসোদিয়ার কাছে গিয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। গতকালো তল্লাশিতে সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে প্রচুর নথি, ইলেকট্রনিক পণ্য, তার ভিতরে থাকা তথ্য ও বেশ কিছু আর্থিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের তল্লাশি শেষ হওয়ার পরই রাতে উপমুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমি কোনও ভুল করিনি। তাই ভয় পাচ্ছি না। আমরা অত্যন্ত সৎ মানুষ। আমরা কিছু ভুল করিনি এবং আগামী দিনগুলিতেও আমরা সততার সঙ্গে কাজ করব। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। কিন্তু সুশিক্ষা ও স্বাস্থ্যের লক্ষ্য়ে দিল্লি সরকারের কাজ কিছুতেই বন্ধ করা যাবে না।”