Delhi COVID Restrictions: লকডাউন না হলেও কাটছাঁট কর্মীসংখ্যায়, সপ্তাহন্তে কার্ফুও জারি দিল্লিতে
Delhi COVID Restrictions: এদিন সকালেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপরই তিনি জানান, এবার থেকে দিল্লিতে সপ্তাহ শেষে কার্ফু জারি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সমস্ত বেসরকারি অফিসে কর্মীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: সংক্রমণ বাড়লেও এখনই লকডাউন(Lockdown)-র সম্ভাবনা নেই, এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন(Satyendar Jain)। অন্যদিকে, দিল্লির উপমুখ্য়মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া)Manish Sisodia)-ও জরুরি বৈঠকের পর রাজ্যে নয়া করোনাবিধি (COVID Restriction) ঘোষণা করলেন। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ভিড় কমাতে বাস ও মেট্রো আগের মতোই পূর্ণ ক্ষমতায় চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
সপ্তাহন্তে কার্ফু জারি:
দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছলেও এখনই লকডাউন করতে রাজি নয় দিল্লি সরকার। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক পরিবর্তন আনা হল পুরনো কোভিডবিধির নির্দেশিকায়। এদিন সকালেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপরই তিনি জানান, এবার থেকে দিল্লিতে সপ্তাহ শেষে কার্ফু জারি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সমস্ত বেসরকারি অফিসে কর্মীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে যারা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তারা বাদে বাকি সকলকে বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০০ শতাংশই চলবে বাস-মেট্রো:
রাজ্য়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই জারি করা হয়েছিল হলুদ সতর্কতা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস ও মেট্রো চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই নির্দেশিকার জেরে বাস ও মেট্রো স্টেশনের বাইরে চূড়ান্ত ভিড় হয়, ভাঙচুরও করা হয় বাসে। সেই কারণেই এদিনের সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হল ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই চলবে বাস ও মেট্রো। তবে যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া উঠতে দেওয়া হবে না।
৫ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার:
দিল্লিতে বিগত দুইদিন ধরেই সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি। রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে বর্তমানে সংক্রমণের হার ৬.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। সংক্রমণের হার বৃদ্ধির পরই দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা জরুরি বৈঠকে বসে এবং নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দর জৈন জানান, আপাতত লকডাউন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
করোনা আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী:
এ দিন স কালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তবে উপসর্গ মৃদু রয়েছে। আপাতত বাড়িতেই তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “আমি করোনা পজিটিভ। সংক্রমণ খুবই মৃদু। আমি বাড়িতে নিজেকে আইসোলেট করেছি। বিগত কিছুদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তারা নিভৃতবাসে থাকুন এবং দ্রুত করোনা পরীক্ষা করান।”
কী কী বিধিনিষেধ জারি রয়েছে রাজ্যে?
হলুদ সতর্কতা অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা অবধি নৈশ কার্ফু জারি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল, জিম, স্পা। জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।