Delhi High Court: বন্ধুর মৃত্যু ঠেকাতে মামলা ঠোকার বিরল নজির ভারতে

Delhi high court: এই রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্তের দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিক সমস্যা দেখা যায়। এটি একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদি এবং প্রদাহজনিত স্নায়ুর রোগ।

Delhi High Court: বন্ধুর মৃত্যু ঠেকাতে মামলা ঠোকার বিরল নজির ভারতে
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 6:47 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টে এক অভিনব মামলা দায়ের করেছেন এক মহিলা। তাঁর বন্ধু স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য সুইজারল্যান্ডে যেতে চান। বন্ধুকে আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। বেঙ্গালুরু নিবাসী ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বন্ধু দিল্লিতে থাকেন। মায়ালজিক এনসেফালোমাইলাইটিসের চিকিৎসার জন্য তাঁর বন্ধুকে একটি মেডিক্যাল ভিসাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহিলার দাবি, তাঁর ৪০ বছর বয়সী বন্ধু চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যা করার জন্য সুইজারল্যান্ড যেতে চাইছেন, শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য নয়। অভিযোগকারী তাঁর বন্ধুকে যাতে সরকারের অভিবাসন দফতরের তরফে সুইজারল্যান্ড সফরের জন্য ছাড়পত্র না দেওয়া হয়, তার আবেদন জানিয়েছে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এছাড়া দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদনে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বন্ধুকে পরীক্ষা জন্য আদালত যেন কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয়।

মায়ালজিক এনসেফালোমাইলাইটিস কী?

এই রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্তের দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিক সমস্যা দেখা যায়। এটি একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদি এবং প্রদাহজনিত স্নায়ুর রোগ। দিল্লির হাইকোর্টের কাছে আবেদনে ওই মহিলা জানিয়েছেন ২০১৪ সালে প্রথমবার তাঁর বন্ধুর এই রোগ ধরা পড়ে এবং এই মুহূর্তে তাঁর বন্ধু সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। বাড়ির মধ্যে তিনি সামান্য হাঁটাচলা ছাড়া কোনও শারীরিক কার্যকলাপ করতে পারেন না। মামলাকারী মহিলা জানিয়েছেন, এর আগে তাঁর বন্ধ দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন, কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে চিকিৎসা বিঘ্নিত হয়েছিল। আবেদনে মহিলা জানিয়েছে, তাঁর বন্ধু দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও আর্থিক সমস্যা নেই, কিন্তু তাসত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় যা তাঁর প্রবীণ বাবা-মায়ের জন্য সমস্যার হতে পারে।

ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যুর নিয়ম

২০১৮ সালের মার্চে ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও ব্যক্তির মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যুকে বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে কঠোর নির্দেশিকা মেনে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করতে পারবেন। পরোক্ষে বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে এবং রোগীর চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে।