Shraddha Walkar News: শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহের হাড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করেছিল আফতাব, পুলিশি চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি
গার্লফ্রেন্ডকে হত্যা করে দেহ টুকরো-টুকরো করার পর আফতাব সেই রাতে জোম্যাটো থেকে চিকেন রোল আনিয়েছিল এবং সেটা দিয়েই নৈশভোজ সেরেছিল বলেও পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।
নয়া দিল্লি: দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ড, শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনার কথা এখনও স্মৃতির অতলে চলে যায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে জেলে। এবার এই ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। শ্রদ্ধাকে হত্যা করে দেহ ৩৫ টুকরো করার পর তাঁর দেহের হাড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে পাউডার করা হয়েছিল। আর শ্রদ্ধাকে হত্যা করার তিনমাস পর তাঁর দেহাংশের শেষ খণ্ড, মাথাটি ফেলা হয়েছিল জঙ্গলে। সম্প্রতি প্রকাশিত পুলিশের চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে।
নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়, গার্লফ্রেন্ডকে হত্যা করে দেহ টুকরো-টুকরো করার পর আফতাব সেই রাতে জোম্যাটো থেকে চিকেন রোল আনিয়েছিল এবং সেটা দিয়েই নৈশভোজ সেরেছিল বলেও পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আফতাব পুনাওয়ালার একাধিক গার্লফ্রেন্ড ছিল। দিল্লি থেকে দুবাই পর্যন্ত বহু মহিলা তার গার্লফ্রেন্ড ছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে দিল্লি পুলিশ।
শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে সেগুলি দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল এবং তার জন্য একটি বড় ফ্রিজ আফতাব কিনেছিল বলে আগেই পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। এবার পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য আফতাব একটি করাত এবং তিনটি ছুরি ব্যবহার করেছিল। দেহ কাটতে গিয়ে আফতাবের হাত কেটে যায়। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে সেই ক্ষতস্থানে পাঁচটি সেলাই করায় আফতাব। শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করার পর তার ঠোঁট এবং মোবাইল ফোন একটি বাক্সে বন্দি করে চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল বলে পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখিত হয়েছে। শ্রদ্ধাকে হত্যা করার পর আফতাবের ঘরের ভিতর থেকে একাধিক জলের বোতল পাওয়া গিয়েছিল। জল, হ্যান্ডওয়াশ এবং হারপিক দিয়ে শ্রদ্ধার রক্ত সাফ করেছিল আফতাব।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শ্রদ্ধা ওয়াকার এবং আফতাব পুনাওয়ালার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের সম্পর্ক পরিবার মেনে না নেওয়ায় আফতাবের সঙ্গে দিল্লি চলে এসেছিলেন শ্রদ্ধা। সেখানে লিভ-ইনে থাকতেন দুজনে। তারপর গত ১৮ মে রাতে দিল্লিক ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধার চরম পরিণতি ঘটে।