Delhi Murder: মেহরাউলির জঙ্গলে পুলিশ পেল খুলির অংশ, শ্রদ্ধাকাণ্ডে তিন জায়গায় চলছে সমান্তরাল তদন্ত
Delhi Murder: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে, একটি খুলির অংশ-সহ আরও মানব দেহাংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ। এই কাণ্ডে তিনটি প্রধান তদন্ত স্থল চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
নয়া দিল্লি: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে, মেহরাউলি জঙ্গল থেকে আরও মানব দেহাংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ। গত বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রদ্ধার কাটা মাথার মরিয়া সন্ধান করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার (২০ নভেম্বর) তারা মেহরাউলির জঙ্গল থেকে একটি মাথার খুলির অংশ, একটি কাটা মাথার চোয়াল এবং আরও কিছু হাড়গোড় পেয়েছে। সেই দেহাংশগুলি আদৌ শ্রদ্ধার কি না, তা পরীক্ষার জন্য দেহাংশগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে, হাড়গোড়ের নমুনাগুলি মিলিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আফতাব স্বীকার করেছে যে, শ্রদ্ধা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল সে। তার বাড়িতে শ্রদ্ধার তিনটি ছবি ছিল। হত্যার পর, বাড়িতে সেই ছবিগুলি খুঁজে পেয়েছিল সে। পরবর্তী সময়ে সেই ছবিগুলি নষ্ট করে দিয়েছিল সে। আফতাবের ছত্তরপুরের ফ্ল্যাট থেকে শ্রদ্ধার একটি ব্যাগ, তাঁর কিছু জামাকাপড় এবং জুতোও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। বুধবারই আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই আগামী কয়েকটা দিন তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলার সঙ্গে জড়িত মূল প্রমাণগুলিই এখনও পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে শ্রদ্ধার কাটা মাথা এবং হত্যার অস্ত্র খুঁজে পাওয়াটা আফতাবকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই ঘটনার কোনও সাক্ষী নেই। এখনও পর্যন্ত গোটা মামলাটিই দাঁড়িয়ে আছে মূলত আফতাবের স্বীকারোক্তির উপরই। তাই ছয় মাসের পুরোনো এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ফরেনসিক রিপোর্ট, ফোনকল তথ্যাদি, পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দিল্লি পুলিশের অনুরোধে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি দল আফতাবের ‘নারকো পরীক্ষা’ও করবে।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ তিনটি প্রধান তদন্তস্থল চিহ্নিত করেছে। প্রথমটি হল মেহরাউলির জঙ্গল, যেখান থেকে এদিন করোটির অংশ এবং চোয়ালের হাড়টি পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই জঙ্গল থেকেই ৮ থেকে ১০টি হাড় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সবকটি দেহাংশই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গত তিন দিন ধরে প্রতিদিনই এই দঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তদন্তের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল আফতাব পুনাওয়ালার ছতরপুরের ফ্ল্যাট। খুনের আগে এই ফ্ল্য়াটেই থাকত শ্রদ্ধা। শনিবার এই ফ্ল্যাট থেকে ভারী এবং ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের সন্দেহ, শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ কাটতে ওই সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এদিনও ফ্ল্যাট থেকে দুটি বড় কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে বের হতে দেখা গিয়েছে তদন্তকারীদের। এই তদন্তের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান হল গুরুগ্রামের এক কল সেন্টারের আশপাশের এলাকা। এই কল সেন্টারেই কাজ করত আফতাব। আফতাবের এই কর্মস্থলের আশপাশ থেকেও একটি ভারী কালো পলিথিনের ব্যাগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।