ফের ফ্যাবিফ্লু বিতর্কে গৌতম গম্ভীর, জবাব চেয়ে নোটিস পাঠাল দিল্লি পুলিশও
গত ২১ এপ্রিল বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর টুইট করে লেখেন, পূর্ব দিল্লিতে যাদের ফ্যাবিফ্লুর প্রয়োজন, তাঁরা আধার কার্ড ও প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে তাঁর অফিস থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত দিল্লি। এরইমাঝে নিজের নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। কিন্তু বিনামূল্যে ফ্যাবিফ্লু বিতরণ নিয়ে দিল্লি পুলিশ এ বার গৌতম গম্ভীরের কাছ থেকে জবাব চাইল। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেও একই বিষয় নিয়ে ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়েছিল গম্ভীরকে।
দিল্লি পুলিশের নোটিস পাওয়ার পরই গম্ভীর বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ” বিরোধীদের অপ্রয়োজনীয় রাজনীতি করার কোনও প্রয়োজন নেই। দিল্লি পুলিশ আমাদের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে এবং আমরা আগেই বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি। আমি সর্বদাই দিল্লির মানুষের সেবা করে যাব এবং তাঁদের সাহায্যের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করব।”
Opposition should not indulge in needless politicisation of due process. Delhi Police has asked for a reply from us & we’ve provided all details. I will keep serving Delhi & its people to the best of my abilities always!
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) May 14, 2021
একা গম্ভীরই নন, ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ শাখা কংগ্রেসের যুব সম্পাদক শ্রীনীবাস বিভিকেও কোভিড ত্রাণ বিলি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিজেপি মুখপাত্র হরিশ খুরানাও ত্রাম বিতরণ নিয়ে পুলিশি জেরার মুখে পড়েছেন।
গত ২১ এপ্রিল বিজেপি সাংসদ টুইট করে লেখেন, “পূর্ব দিল্লিতে বসবাসকারী যাঁদের ফ্যাবিফ্লু-র প্রয়োজন, তাঁরা আমার সাংসদ অফিস (২, জাগ্রীতি এনক্লেভ) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন। দয়া করে সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও নিজের আধার কার্ড আনবেন।”
এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ আনা হয়, রাজনীতি করতেই বিজেপি নেতারা ওষুধ নিজেদের কাছে মজুত রেখে বাজারে সঙ্কট তৈরি করছেন এবং নিজেরা কালোবাজারি করছেন। এমনকি গৌতম গম্ভীরের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়।
জবাবে গৌতম গম্ভীর জানিয়েছিলেন, তিনি ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে কয়েকশো স্ট্রিপ কিনে যদি বিনামূল্যে বিতরণ করেন, তা কী করে কালোবাজারি হয়? তাঁর একার জন্যই কী গোটা দেশে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে?
এ দিকে, দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, “এগুলি কি প্রেসক্রিপশনের ওষুধ নয়? কীভাবে কেউ এত সংখ্যক ওষুধ মজুত করে রাখতে পারে? ওনার কাছে কি ওষুধ কেনা-বেচার লাইসেন্স আছে? নাকি ওনার লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে না!”
আরও পড়ুন: করোনার করাল গ্রাসে ১২ দিনেই মৃত পরিবারের ৪ সদস্য, বাড়িতে একা পড়ে ৬ ও ৮ বছরের অনাথ শিশু