করোনার করাল গ্রাসে ১২ দিনেই মৃত পরিবারের ৪ সদস্য, বাড়িতে একা পড়ে ৬ ও ৮ বছরের অনাথ শিশু

করোনার গ্রাসে প্রথম আসেন বাড়ির প্রবীণতম সদস্য দুর্গেশ প্রসাদ। এরপর একে একে স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূও করোনা আক্রান্ত হন। ১২ দিনের মধ্যেই মারা যান চারজন।

করোনার করাল গ্রাসে ১২ দিনেই মৃত পরিবারের ৪ সদস্য, বাড়িতে একা পড়ে ৬ ও ৮ বছরের অনাথ শিশু
মৃত চার সদস্য। ছবি:টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 9:16 AM

গাজিয়াবাদ: মাত্র ১২ দিন। আর তার মধ্যেই অনাথ হয়ে গেল ছয় ও আট বছরের দুই শিশু। করোনার করাল গ্রাসে কেবল মা-বাবাই নয়, দেখভাল করার একমাত্র ভরসা দাদু-দিদাও প্রাণ হারালেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে।

করোনার গ্রাসে প্রথম আসেন বাড়ির প্রবীণতম সদস্য দুর্গেশ প্রসাদ। তিনি স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও দুই নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক দুর্গেশ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত এপ্রিলের শেষভাগে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। রিপোর্ট পজে়টিভ আসার পর তিনি হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তিনি ওষুধও খাচ্ছিলেন।

সতর্কতা সত্ত্বেও বাড়ির বাকি তিন সদস্য অর্থাৎ দুর্গেশ প্রসাদের স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূও করোনা আক্রান্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল আচমকাই দুর্গেশ প্রসাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ও তিনি মারা যান। এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই করোনাতেই প্রাণ হারান তাঁর ছেলেও। অবশিষ্ট থেকে যান বাড়ির দুই মহিলা ও দুই শিশু।

তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্গেশ প্রসাদের স্ত্রীও মারা যান এবং গত ৭ মে দুই সন্তানকে রেখে মারা যান পুত্রবধূও। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান পাড়া-পড়শিরা। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে চোখের সামনে একটি গোটা পরিবারকে শেষ হয়ে যেতে দেখে তাঁরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আপাতত দুই শিশু উত্তর প্রদেশের বরেলিতে তাঁর মাসির বাড়িতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে উত্তর প্রদেশের এই ঘটনাই প্রথম নয়, একাধিক রাজ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনাথ হয়ে যাচ্ছে বহু শিশু। এই বিষয়ে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কানুনগো জানান, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রতিটা রাজ্যের মুখ্যসচিব ও শিশু অধিকার কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনও শিশু অনাথ হয়ে গেলে কোনও এনজিও বা ব্যক্তি নিজে থেকে দত্তক নিতে পারেন না। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও শিশুর দেখভালের জন্য সম্পূর্ণ আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

আরও পড়ুন: ঔরঙ্গাবাদের হাসপাতালে সচলই রয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ভেন্টিলেটর, ভুয়ো তথ্য উড়িয়ে দিল কেন্দ্র