ঔরঙ্গাবাদের হাসপাতালে সচলই রয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ভেন্টিলেটর, ভুয়ো তথ্য উড়িয়ে দিল কেন্দ্র

জ্যোতি সিএনসি সংস্থার তরফে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ১০০টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে ৪৫টি ঔরঙ্গাবাদ মেডিক্যাল কলেজেই লাগানো হয়। মোট ১৫০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে এখনও অব্যবহৃতই রয়েছে ৪৮টি ভেন্টিলেটর।

ঔরঙ্গাবাদের হাসপাতালে সচলই রয়েছে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ভেন্টিলেটর, ভুয়ো তথ্য উড়িয়ে দিল কেন্দ্র
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 8:38 AM

নয়া দিল্লি: করোনার প্রথম ঢেউয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যখন ভেঙে পড়ার মুখে ছিল, সেই সময় মেক ইন ইন্ডিয়ার উপর জোর দিয়েই দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছিল ভেন্টিলেটরও। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয় যে,মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে যে ভেন্টিলেটরগুলি পাঠানো হয়েছে, তা কাজ করছে না। যদিও শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এই তথ্যকে ভুয়ো বলে জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে দেশজুড়ে যখন ভেন্টিলেটরের আকাল দেখা দিয়েছিল, তখন দেশীয় প্রযুক্তিতেই ভেন্টিলেটর তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও বহু হাসপাতালে সেই ভেন্টিলেটর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গত ১১ এপ্রিল এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বিভিন্ন রাজ্যকে চিঠিও লেখেন।

ঔরঙ্গাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ঘিরে শুরু বিতর্কের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে প্রথমেই জানানো হয়েছে, এই ভেন্টিলেটরগুলি জ্যোতি সিএনসি সংস্থা তৈরি করে হাসপাতালের অর্ডারেই। পিএম-কেয়ার ফান্ড থেকে এর জন্য অর্থ খরচ করা হয়নি। অর্ডার দেওয়া ১৫০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ১০০টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে ৪৫টি ঔরঙ্গাবাদ মেডিক্যাল কলেজেই লাগানো হয়।

সেই ৪৫টি ভেন্টিলেটরের মধ্যেই তিনটি সিগমা নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুনর্স্থাপিত করা হয়। জ্যোতি সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররাই তা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে এই ভেন্টিলেটর পাঠানো হলেও তা চালু করার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়নি। বদলে রাজ্য সরকারের কর্মীদের দিয়েই ভেন্টিলেটরগুলি লাগানো ও চালু করা হয়। দ্বিতীয় ব্যাচ পৌঁছনোর পরও এখনও অবধি মোট ৪৮টি ভেন্টিলেটর সিল করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল ঔরঙ্গাবাদ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আটটি ভেন্টিলেটর কাজ করছে না। এরপরই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়। দেখা যায়, তিনটি ভেন্টিলেটরে ফ্লো সেন্সর বসানো হয়নি এবং একটি ভেন্টিলেটরে অক্সিজেন সেল কাজ করছে না। সমস্ত ভেন্টিলেটরই ঠিক করে দেওয়া হয়।

ফের গত ১০ মে একই হাসপাতাল থেকে ফোন করে একটি ভেন্টিলেটর অচল হয়ে পড়ার অভিযোগ জানানো হয়। প্রস্তুতকারক সংস্থারা সেটিও ঠিক করে দিয়ে আসেন। বর্তমানে হাসপরাতালে লাগানো সবকটি ভেন্টিলেটরই সচল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। একইসঙ্গে ভুয়ো খবর ছড়ানো ও রাজনীতি করা নিয়ে নিন্জা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম, দেখা করতে গিয়েই গণধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত