Gyanvapi Row: জ্ঞানব্যাপি পোস্ট বিতর্কে জামিন অধ্যাপকের
Gyanvapi Mosque: বারাণসীর জ্ঞানব্যাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা দাবি করেছিলেন মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে।
নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে উত্তর প্রদেশের জ্ঞানব্যাপি মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। বারাণসীর এই মসজিদ নিয়ে হিন্দু মহিলা মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে মসজিদের অভ্যন্তরের এক জলাশয় চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই দাবি সামনে আসার পর থেকেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। শুক্রবারই জ্ঞানব্যাপি নিয়ে বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবারই আদালত রতন লাল নামের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) ওই অধ্যাপকের জামিন মঞ্জুর করেছে। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অভিযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। গ্রেফতারির পর রতনকে তিস হাজারি কোর্টের পেশ করা হয়েছিল। আদালত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে আদালত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপককে কড়া নির্দেশে দিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জ্ঞানব্যাপি সংক্রান্ত’ কোনও পোস্ট বা সাক্ষাৎকার পোস্ট না করা হয়।
দিল্লির এক আইনজীবী মঙ্গলবার রাতেই ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছিল। বিনীত জিন্দল নামের ওই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ওই অধ্যাপক শিবলিঙ্গ নিয়ে ‘অবমাননাকর এবং উস্কানিমূলক টুইট’ করেছিলেন। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৫৩ এ এবং ২৯৫ এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। শনিবার বাম ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ ছাড়াও বাইরে থেকে ৪ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
বারাণসীর জ্ঞানব্যাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা দাবি করেছিলেন মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। আদালতের তরফে মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মামলাকারীদের এক আইনজীবী বিষ্ণু জৈন দাবি করেছিলেন মসজিদের ভিতরে অবস্থিত একটি জলাশয় এলাকায় শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই দাবির পর সেই নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়, তবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এই দাবি অস্বীকার করেছিল। এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট অবধি গিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, যে এলাকার শিবলিঙ্গ থাকার দাবি করা হয়েছিল সেই এলাকটি সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি মসজিদে নামাজ বন্ধ করা যাবে না। জ্ঞানব্যাপি নিয়ে পরবর্তী পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের।