Alapan Bandyopadhyay: আলাপনের রিভিউ পিটিশনের বিরোধিতা করে পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র
Delhi High Court: সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে দিল্লি বেঞ্চে স্থানান্তর করার পক্ষে CAT চেয়ারপারসন যে রায় দিয়েছিলেন, তার বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। সেই আবেদনেরই এবার বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়া দিল্লি : পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি হাইকোর্টে আলাপনের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (CAT) চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে দিল্লি বেঞ্চে স্থানান্তর করার পক্ষে CAT চেয়ারপারসন যে রায় দিয়েছিলেন, তার বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। সেই আবেদনেরই এবার বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার তরফে দিল্লি হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল অবসর নেওয়ার পরপরই রিভিউ পিটিশন দায়ের করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (CAT) চেয়ারম্যানের কলকাতা বেঞ্চ থেকে দিল্লিতে তার মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনটি ২০২২ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের একটি বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছিল।
তারপরে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল যেখানে সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভির পক্ষে উপস্থিত হওয়া জুনিয়র কাউন্সেলের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও পাসওভার দেওয়া হয়নি। বিচারপতি রাজীব শাকধের এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের একটি বেঞ্চ ২২ এপ্রিল রিভিউ পিটিশনে নোটিশ জারি করেছিল। নোটিশ জারি করার সময় আদালত উল্লেখ করেছিল, পাসওভারের অনুরোধটি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল এবং সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে। ওই মামলা ক্যাটের দিল্লি বেঞ্চে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপন বাবু। এই নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জানাল, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রিভিউ পিটিশন নিয়ে এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ইয়াস পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলাইকুণ্ডায় একটি পর্যালোচনা বৈঠকও হয়েছিল সেই সময়। বৈঠকে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠক শেষের আহেই মুখ্যমন্ত্রী এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যান। এই নিয়ে সেই সময় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ উঠেছিল, আলাপন বাবু যেহেতু একজন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিক, তাই তিনি কেন্দ্রীয় ক্যাডার। তাই এভাবে বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে যাওয়াটা তাঁর সার্ভিস কোডের পরিপন্থী। সেই নিয়েই আলাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় কর্মীবর্গ মন্ত্রক।