Women Commission: মেয়েদের স্কুলে মদের বোতল, ড্রাগের সিরিঞ্জ! পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে মহিলা কমিশনের

MCD run School: চারটি স্কুলে গত শুক্রবার ও শনিবার পরিদর্শনে যান কমিশনের প্রতিনিধিরা। সব স্কুলেই তাঁদের অভিজ্ঞতা কম বেশি একই রকম। স্কুলের বিল্ডিং চত্বতে মদের বোতল, সিগারেটের প্যাকেট, গুটখার প্যাকেট ছাড়াও মাদক সিরিঞ্জ পড়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা।

Women Commission: মেয়েদের স্কুলে মদের বোতল, ড্রাগের সিরিঞ্জ! পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে মহিলা কমিশনের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 6:09 PM

নয়াদিল্লি: সরকারি স্কুলে মেয়েদের নিরাপত্তা কেমন। তা দেখতে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন সরকারি স্কুলে গিয়েছিলেন দিল্লির মহিলা কমিশন। সেখানে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেখলেন স্কুল চত্বরেই কী ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, মাদকদ্রব্য ও মদের বোতল। কয়েকটি স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ। যে কোনও সময় ভেঙে পড়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে, এ রকম বিল্ডিংয়েই হচ্ছে ক্লাস। এ সব দেখে কমিশনের প্রতিনিধিরা স্কুলগুলিকে ‘দুঃখজনক, নিরাপত্তাহীন ও প্রচণ্ড ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন রিপোর্টে।

সম্প্রতি দিল্লি পুরনিগম পরিচালিত একটি স্কুলে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। তার পরই স্কুলগুলি পরিদর্শনে যায় দিল্লির মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিয়াল ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রমিলা গুপ্তা, সাকিরা চৌধরী, ফিরদৌস খান, বন্দনা সিং। আগাম খবর না দিয়েই স্কুলে পরিদর্শনে যান তাঁরা। অরুণা নগরের নাগপাল নিগম বিদ্যালয়, কেয়াল পার্কের নিগম প্রতিভা শাগ শিক্ষা বিদ্যালয়, মুস্তফাবাদের পূর্বি দিল্লি নগর নিগম প্রতিভা বিদ্যালয় এবং সঞ্জয় কলোনির দক্ষিণি দিল্লি নিগম প্রাথমিক বাল বালিকা বিদ্যালয়- এই চারটি স্কুলে গত শুক্রবার ও শনিবার পরিদর্শনে যান কমিশনের প্রতিনিধিরা। সব স্কুলেই তাঁদের অভিজ্ঞতা কম বেশি একই রকম।

স্কুলের বিল্ডিং চত্বতে মদের বোতল, সিগারেটের প্যাকেট, গুটখার প্যাকেট ছাড়াও মাদক সিরিঞ্জ পড়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছেন স্কুলের গেটে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। স্কুলের ভিতর সমাজ বিরোধীদের আড্ডার কথাও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। স্কুলের তরফেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ উঠেছে।

এর পাশাপাশি স্কুলের বিল্ডিং গুলির অবস্থাও ভয়াবহ বলে মনে হয়েছে কমিশনের প্রতিনিধিদের। দিল্লি পুরনিগমের স্কুলবাড়িকে ‘হরর হাউস’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তাঁরা দেখেছেন, কোনও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের বসতে হচ্ছে টিনের ছাউনিতে। তো কোনও স্কুল বিল্ডিংয়ের ছাদ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের শৌচালয়ের ভয়াবহের অবস্থার কথাও উঠে এসেছে রিপোর্টে। বাথরুমগুলি ভয়াবহ নোংরা, দুর্গন্ধ যুক্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, মূত্রে ভাসছে মেঝে। টয়লেটে সাবানেরও ব্যবস্থা নেই। যে চারটি স্কুলে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেখানে একটিতেও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবও রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিয়াল বলেছেন, “দিল্লি পুরনিগমের স্কুলগুলির অবস্থা দেখে আমি চমকে গেছি। যে অবস্থার মধ্যে ক্লাস হয়, তা দেখে খুবই অসহায় লাগছে। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একটুও নিরাপদ নয় স্কুলগুলি।” কী ভাবে নিরাপত্তারক্ষী বা সিসিটিভি ছাড়াই স্কুল চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কমিশন এফআইআৎ করবেন বলেও জানিয়েছে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।