মুলচন্দ হাসপাতালেও অক্সিজেন সঙ্কটে বন্ধ হল রোগী ভর্তি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত সাহায্যের আর্জি

সকালে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে। দ্রুত সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলকে অনুরোধ জানানো হয়।

মুলচন্দ হাসপাতালেও অক্সিজেন সঙ্কটে বন্ধ হল রোগী ভর্তি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত সাহায্যের আর্জি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 24, 2021 | 8:35 AM

নয়া দিল্লি: গঙ্গারাম হাসপাতালের পর এ বার মুলচন্দ হাসপাতালেও দেখা গেল অক্সিজেন সঙ্কট। শনিবার সকালে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে, এ দিকে ১৩০ জনেরও বেশি করোনা রোগী লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রয়েছেন। দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলকে অনুরোধ জানানো হয় হাসপাতালের তরফে।

এ দিন সকালে দিল্লির মুলচন্দ হাসপাতালের তরফে টুইট করে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়। টুইটে বলা হয়, “দ্রুত সাহায্য করুন। আমাদের কাছে মাত্র দুই ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে। আমরা সমস্ত নোডাল অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। আমাদের হাসপাতালে ১৩৫ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।”

অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল, এমনই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

এর আগে গতকাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতাল ও ম্যাক্স হাসপাতালের তরফেও অক্সিজেন ঘাটতির কথা জানানো হয়েছিল। গঙ্গারাম হাসপাতালে দুই ঘণ্টার এবং ম্যাক্স হাসপাতালে এক ঘণ্টার অক্সিজেন পড়েছিল বলে জানানো হয়। যদিও আবেদনের দুই ঘণ্টার মধ্যেই গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেন এসে পৌঁছয়। এক ঘণ্টার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন পেলেও তা দিয়ে মাত্র দুইঘণ্টা চিকিৎসা চালানো যাবে বলে জানানো হয়।

অন্যদিকে, অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার পর থেকেই দিল্লির একাধিক হাসপাতাল রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেয়। হাসপাতালের বাইরে রোগীর পরিবারের লম্বা লাইন দেখা যায়। শুক্রবার রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩১ জন. একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩৪৮ জনের, যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের গেট পেরতেই অ্যাম্বুলেন্স থেকে ছিটকে পড়ল করোনা রোগীর মৃতদেহ!