Allahabad HC: দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে যৌন মিলনের অনুমতি না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান: হাইকোর্ট

Allahabad High Court: উপযুক্ত কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বা স্ত্রীকে যৌন মিলনের অনুমতি না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। সম্প্রতি, এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

Allahabad HC: দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে যৌন মিলনের অনুমতি না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান: হাইকোর্ট
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2023 | 7:53 PM

প্রয়াগরাজ: উপযুক্ত কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে যৌন মিলনের অনুমতি না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। সম্প্রতি, এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলার ক্ষেত্রে, বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন স্বামী। কিন্তু, পারিবারিক আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। পারিবারিক আদালতের সেই রায়কে এলাহাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্বামী। ১৯৭৯ সালে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। তাদের সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মেনে, বিয়ের সাত বছর পর বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে পারি দিয়েছিলেন স্ত্রী। স্বামীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে আসার কিছু দিন পরই তাঁর প্রতি তাঁর স্ত্রীয়ের মনোভাব বদলে গিয়েছিল। তিনি তাঁর সঙ্গে স্ত্রী হিসেবে থাকতে অস্বীকার করেছিলেন। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করার পরও স্ত্রী তার সঙ্গে শারীরিক মিলনে রাজি হননি।

তাঁর আরও অভিযোগ, অল্প সময় একই ছাদের নীচে থাকার পরস তাঁর স্ত্রী ফের বাপের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পুলিশে কাজ করেন। যেখানে তাঁর পোস্টিং হয়, তাঁকে সেখানেই থাকতে হয়। বাপের বাড়ি ত্যাগ করার পর, মাত্র ছয় মাস তিনি স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। তারপরই বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। বাপের বাড়ি থেকে ফিরে আসার জন্য স্ত্রীকে বোঝাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর স্ত্রী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তাবও দেন। ১৯৯৪ সালে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে সহমত হয়েছিলেন এবং তারপর ওই ব্যক্তি ফের বিয়েও করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর, মানসিক নিষ্ঠুরতা, দীর্ঘ সময় একসঙ্গে না থাকা এবং ১৯৯৪ সালের বিবাহবিচ্ছেদের সম্মতির ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের একটি ফরমান চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তাঁর প্রথম স্ত্রী পারিবারিক আদালতে হাজির হননি। এরপর, ‘এক্স পার্টে’ অর্থাৎ একপক্ষকে নিয়েই মামলাটির শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

তবে, শুনানির সময় যাবতীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ পরীক্ষা করে তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। এরপরই পারিবারিক আদালতের রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির দাখিল করা প্রমাণগুলি অবিশ্বাস করার মতো কিছু রেকর্ডে নেই। উচ্চ আদালত আরও জানায়, ওই ব্যক্তির দাখিল করা নথিগুলি ফটোকপি ছিল বলে পারিবারিক আদালত সেগুলি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেনি। পাশাপাশি তার প্রথম স্ত্রী ফের বিয়ে করেছে, এই বিষয়ে কোনও নথি তিনি দাখিল করতে পারেননি। হাইকোর্ট বলেছে, এই মামলার ক্ষেত্রে ‘হাইপার-টেকনিক্যাল’ পদ্ধতি গ্রহণ করে মামলাটি খারিজ করেছে পারিবারিক আদালত। হাইকোর্ট আরও বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী আলাদা ভাবে বসবাস করছেন এবং স্ত্রী তাঁর বৈবাহিক দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেছেন। তাই, এই ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে বিবাহবিচ্ছেদের পৎমান মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।