NCP-BJP: বিরোধী জোটের কাঁটা তুলতেই অজিতকে মন্ত্রীপদ? শরদ পওয়ারকে নিয়ে এই কথা স্বীকার করলেন ফড়ণবীস
Maharashtra Crisis: দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, "ওঁর স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু ও ফিট। এখন একাধিক জায়গায় যান শরদ পওয়ার। রাজনৈতিকভাবেও তিনি সম্পূর্ণ সতর্ক ও অবগত। রাজনীতির প্রতিটা কোণ জানেন যে সমস্ত রাজনৈতিকবিদরা, তাদের মধ্যে একজন শরদ পওয়ার।"
মুম্বই: পথের কাঁটা ছিলেন শরদ পওয়ারই (Sharad Pawar)! বিজেপি(BJP)-র সঙ্গে এনসিপি(NCP)-র হাত মেলানোর পরিকল্পনা কি আগেই ছিল? মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের (Devendra Fadnavis) বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই মিলল। রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটভূমি এক নতুন মোড় নেয়। শিবসেনার পর এনসিপিরও একটি শিবির দল থেকে বেরিয়ে এসে হাত মেলায় বিজেপির সঙ্গে। ওই শিবিরের মুখ এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের পাশাপাশি তিনিও মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হন। তবে এই দলবদলের আগেই এনসিপি এবং বিশেষ করে শরদ পওয়ারকে নিয়ে যে মাথা ঘামাতে শুরু করেছিল বিজেপি, তার প্রমাণ মিলল উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের কথায়। সম্প্রতিই এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “শরদ পওয়ার তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলের হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দিতে চান। বিরোধী জোটের চালক শক্তিও শরদ পওয়ার।”
গত ২৯ জুন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এনসিপির পরিবারতন্ত্রকেই আক্রমণ করেছিলেন। একইসঙ্গে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৌলতে দেশে পরিবারতন্ত্রের প্রভাব কমেছে, তাও তুলে ধরেন তিনি। বিরোধী জোটের চালিকা শক্তি শরদ পওয়ার, এমনটাই দাবি করে ফড়ণবীস বলেন, “বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় আনতে পারেন একজনই, তিনি হলেন পওয়ার সাহেব। যে বিরোধী দলগুলি একে অপরের মুখও দেখে না, তাদের মুখোমুখি আনার ক্ষমতা রাখেন পওয়ার সাহেব। এই বিরোধী জোটের চালিকাশক্তি শরদ পওয়ারই।”
তিনি আরও বলেন, “ওঁর স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু ও ফিট। এখন একাধিক জায়গায় যান শরদ পওয়ার। রাজনৈতিকভাবেও তিনি সম্পূর্ণ সতর্ক ও অবগত। রাজনীতির প্রতিটা কোণ জানেন যে সমস্ত রাজনৈতিকবিদরা, তাদের মধ্যে একজন শরদ পওয়ার। বাকি পরিবারতান্ত্রিক দলের মতো ওঁ চান পরিবারের কারোর হাতেই দায়িত্ব তুলে দিতে। সেই কারণেই তিনি সুপ্রিয়াজিকে সামনে এনেছেন।”
শরদ পওয়ারের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গেও ফড়ণবীস বলেন, “যদি ওঁ দায়িত্ব ছাড়তে চাইতেন, তবে সুপ্রিয়া সুলেকে দলের সভাপতি করতেন, কিন্তু ওঁ সুপ্রিয়াজিকে কার্যকরী সভাপতি করেছেন। প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ঠিকই, কিন্তু এখনও দলের চালকের আসনে শরদ পওয়ারই রয়েছেন।”