Personal Data Protection Bill: নিয়ম ভাঙলে দিতে হবে ৫০০ কোটির জরিমানা, জেনে নিন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দিক

Personal Data Protection Bill: এই খসড়া বিলের ৯ (৬) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যে সংস্থার কাছে তথ্য় সংরক্ষিত রাখা রয়েছে, তার যদি বাণিজ্যিক বা আইনি প্রয়োজন ফুরোয়, তবে সেই তথ্য আর সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না।

Personal Data Protection Bill: নিয়ম ভাঙলে দিতে হবে ৫০০ কোটির জরিমানা, জেনে নিন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দিক
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 11:15 AM

নয়া দিল্লি: শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল (Digital Personal Data Protection Bill)। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (Ministry of Electronics and Information Technology) তরফে এই খসড়া বিল প্রকাশিত করা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম ও ডেটা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা রাখার জন্যই একাধিক নিয়ম আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই খসড়া বিলে। একদিকে যেমন বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যমে সংগ্রহ করে রাখা তথ্য, যা আইনি বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আর প্রয়োজনীয় নয়, তা ডিলিট করে দিতে। তেমনই আবার তথ্য সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হলে ৫০০ কোটি টাকা অবধি জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। বিগত ৫ বছর ধরে তৈরি করা এই খসড়া বিল নিয়ে জনগণের মতামতও চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর অবধি সাধারণ মানুষ তথ্য সুরক্ষা খসড়া বিল নিয়ে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন।

কী কী বলা হয়েছে তথ্য় সুরক্ষা বিলে?

১. এই প্রথম কোনও বিলে ব্যক্তির “ভুলে যাওয়ার অধিকার” (Right to be Forgotten) -র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই খসড়া বিলের ৯ (৬) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যে সংস্থার কাছে তথ্য় সংরক্ষিত রাখা রয়েছে, তার যদি বাণিজ্যিক বা আইনি প্রয়োজন ফুরোয়, তবে সেই তথ্য আর সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি যদি কোনও অনলাইন অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং পরে কয়েক মাসের ব্য়বধানে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন, তবে ওই পরিষেবা প্রদানকারী আর ওই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে না। একইভাবে কোনও সংস্থা যদি কর্মীর বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করেন, তবে ওই কর্মী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর সেই বায়োমেট্রিক ডিলিট করে দিতে হবে।

২. গ্রাহকের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা কী কারণে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা গ্রাহককে জানাতে হবে। খসড়া বিলে বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করার আগে অবশ্যই সেই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে।

৩. তথ্য সুরক্ষা আইনের কোনও নিয়ম যদি লঙ্ঘন করা হয়, তবে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। এই জরিমানার অঙ্ক ৫০০ কোটি টাকা অবধি হতে পারে।

৪.  অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। খসড়া বিলে তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের যাবতীয় অভিযোগ শুনবে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। যদি কোনও আইন লঙ্ঘন হয়, তবে সেক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্কও ধার্য করবে এই বোর্ড।

৫. বোর্ডের কোনও নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ বা আবেদন জানানো হয়, তবে হাইকোর্টেই সেই আবেদন জানাতে হবে।

৬. যদি কোনও ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা লঙ্ঘন হয়, তবে সেক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহকারীকে এই বিষয়ে বোর্ড ও যাদের তথ্যের সুরক্ষা লঙ্ঘিত হয়েছে, তাদের বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।

৭. তথ্য সুরক্ষা অফিসারের বাণিজ্যিক চুক্তির যাবতীয় তথ্যও জানাতে হবে।

৮. এই প্রথম ভারতীয় আইনের ইতিহাসে ‘তাঁর’ (Her) ও ‘সে’ (She) লিঙ্গ নির্বিশেষে উল্লেখ করা হয়েছে।

৯. ভারত ব্যতীত যে সমস্ত দেশে ব্যবহারীদের তথ্য সংগ্রহিত থাকবে, সেই দেশগুলির নামকেন্দ্রীয় সরকার একটি তালিকা আকারে প্রকাশ করবে।