Shraddha Murder Case Update: খুনের পরই গুগল সার্চ, নতুন এই অস্ত্র দিয়েই কি শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব? চলছে জোর তদন্ত

Shraddha Murder Case Update: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেরায় আফতাব জানিয়েছে শ্রদ্ধাকে খুনের পর কীভাবে দেহ টুকরো করতে হয়, তা নিয়ে গুগল সার্চ করেছিল আফতাব।

Shraddha Murder Case Update: খুনের পরই গুগল সার্চ, নতুন এই অস্ত্র দিয়েই কি শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব? চলছে জোর তদন্ত
'প্রিয়তমা'র ঠান্ডা শরীরটা কাটতে হাত কাঁপেনি তাঁর! প্রেমিকার দেহ টুকরো করতে করতে খেয়েছিলেন সিগারেট, বিয়ার, অনলাইনে আনানো খাবার। আর রাত বাড়লেই একটা একটা টুকরো নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন, ফেলে দিয়ে আসতেন দূরে কোথাও।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 11:56 AM

নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা খুনের মামলায় এবার পুলিশের হাতে এল বড় প্রমাণ। দিল্লিতে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন (Shraddha Walker Murder Case) করে ৩৫ টুকরো করেছিল প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawalla)। গত সপ্তাহেই আফতাবকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কিন্তু শ্রদ্ধার খুনের কিনারা হচ্ছিল না তারপরও, কারণ এখনও মেলেনি শ্রদ্ধার দেহের একাধিক টুকরো। যে ছুরি দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব, তাও মিলছিল না। তবে এবার পুলিশের হাতে এল একটি ধারাল জিনিস। পুলিশের অনুমান, এই ভারী ও ধারাল বস্তু দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব। দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরে ফ্ল্যাট, যেখানে আফতাব ও শ্রদ্ধা লিভ-ইনে থাকতেন, সেখান থেকেই ওই ধারাল বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় মাস আগে খুন হওয়া শ্রদ্ধার দেহের বাকি অংশগুলি খুঁজে বের করতে ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতেই আফতাবকে লাগাতার জেরা করছে পুলিশ। আদালতের তরফে আফতাবকে ‘থার্ড ডিগ্রি’ জেরা করতে বারণ করা হয়েছে, তাই মারধর করা হচ্ছে না। তবে লাগাতার জেরাতেই মুখ খুলতে শুরু করেছে আফতাব। তার বয়ান শুনেই শনিবার দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে একটি ভারী, ধারাল বস্তু উদ্ধার করা হয়।

জানা গিয়েছে, আফতাব গুরুগ্রামে যে কল সেন্টারে কাজ করত, সেখানেও তল্লাশি চালিয়ে একটি কালো পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যাগে ভারী কোনও বস্তু রাখা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে, তবে ভিতর থেকে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোই উদ্ধার হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেরায় আফতাব জানিয়েছে শ্রদ্ধাকে খুনের পর কীভাবে দেহ টুকরো করতে হয়, তা নিয়ে গুগল সার্চ করেছিল আফতাব। অনলাইনেই সে জানতে পেরেছিল যে কয়েক ফিট অবধি রক্তের ছিটে লাগতে পারে, সেই কারণেই দেওয়াল থেকে বেশ কয়েক ফুট দূরত্ব রেখেছিল দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করার জন্য। যতটুকু রক্তের দাগ দেওয়ালে লেগেছিল, তা মোছার জন্য এক বিশেষ ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করেছিল আফতাব।

খুনের দিন আফতাব যে পোশাক পরেছিল, তা এখনও পাওয়া না গেলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রক্তমাখা ওই পোশাক এখনও ফ্ল্যাটেই কোথাও লুকোনো আছে। অন্যদিকে, আফতাব জেরায় জানিয়েছে, শ্রদ্ধার রক্তমাখা জামা পৌরসভার তরফে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়, সেখানেই ফেলে দিয়েছিল। শ্রদ্ধার ওই পোশাক খোঁজার জন্য আবর্জনা সংগ্রহের পদ্ধতি ট্রাক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুটি ভাগাড় চিহ্নিত করেছে, যা আফতা-শ্রদ্ধার বাড়ির কাছেই অবস্থিত।

আফতাব-শ্রদ্ধার বাড়িতে রাখা যাবতীয় জামা-কাপড়ও সংগ্রহ করা হয়েছে প্রমাণের খোঁজে। এখনও অবধি শ্রদ্ধার কাটা মাথা সহ একাধিক দেহের অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলছে না শ্রদ্ধার মোবাইলও।