Dilip taunts Mamata: ‘৫-৭ টাকা কমালেই পেট্রোল ১০০-র নীচে নেমে যায়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করবেন না’, খোঁচা দিলীপের
Dilip Ghosh: মমতাকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "লোকে বলছে, ১০০ টাকার নীচে পেট্রোলের দাম হওয়া উচিত। যদি উনি ৫-৭ টাকা কমান, তাহলে এটা হয়ে যায়। কিন্তু উনি করবেন না। উনি শুধু সমালোচনা করবেন।"
নয়া দিল্লি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার আগেই পেট্রোল ডিজেলের দাম কমিয়ে রেখেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বক্রোক্তির সুরে বললেন, “দুই বছর আগে এক টাকা কমিয়েছিলেন। এবার দুই টাকা হয়েছে। দাম বেড়েছে, এটা সবাই জানে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার দুই বার কমিয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিও কমিয়েছে। এটা বুঝতে তাঁর এত দেরি হল কেন? ওনারাও রাস্তায় নেমেছিলেন। পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আর দুই টাকা কেন? লোকে বলছে, ১০০ টাকার নীচে পেট্রোলের দাম হওয়া উচিত। যদি উনি ৫-৭ টাকা কমান, তাহলে এটা হয়ে যায়। কিন্তু উনি করবেন না। উনি শুধু সমালোচনা করবেন।”
কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “তুঘলকি কায়দায় সরকার চালাতে চাইছে কেন্দ্র। স্ট্যালিন, হিলটার, মুসোলিনির আমলেও এমন হয়নি।” এবার মমতার এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোন সংস্থার স্বায়ত্ত আছে? নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে দেওয়া হয়? পার্টি অফিস করে দেওয়া হয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অফিসকে। জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার… কারও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। এমনকী বাংলায় যে সরকার চলছে, সেখানে বিরোধীদের কোনও মর্যাদা, অধিকার নেই।”
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভুল করেও কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের কোনও চিঠি দেওয়া হয় না। কোনও সরকারি কমিটিতে বিরোধী দলের বিধায়ক, সাংসদদের ডাকা হয় না। উনি প্রশাসনিক বৈঠক করেন, মনে হয় তৃণমূল পার্টির মিটিং চলছে। সেখানেও আমাদের কখনও ডাকা হয় না। কোন মুখে তিনি এই কথাগুলি বলেন?”
সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের সাফাই দিয়ে বলেন, “আজ কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, তারা যতটা সম্ভব গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করেন। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবদের ডাকা হয়। জেলাশাসকদের ডাকা হয়। অন্যান্য দফতরগুলিকেও ডাকা হয়। কিন্তু ওনারা আসেন না, কারণ, তাঁদের বলার কিছু নেই, প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন না। এই ধরনের গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে কেন্দ্রে।” কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তুলনা টেনে দিলীপ বাবু বলেন, “রাজ্যে সরকার চলছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে অমান্য করে, সংবিধানকে অমান্য করে। সংসদে যে আইন পাস হয়, তার বিরোধিতা করে যে সরকার, তারা কীভাবে এ কথা বলতে পারে। সবথেকে বেশি স্বেচ্ছাচারী সরকার রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।”