জামিনে মুক্তি পেলেন টুলকিট-কাণ্ডে ধৃত দিশা রবি
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে ছিলেন ২২ বছরের এই ছাত্রী।
নয়া দিল্লি: টুলকিট মামলায় এ দিন পাতিয়ালা হাউস কোর্ট দিশার জামিন মঞ্জুর করেছে। এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন দিশা। দিশার জামিনের আবেদনের শুনানিতে পুলিশ জানিয়েছিল যে দিশা রবি প্রমাণ নষ্ট করেছেন। সেই একই সঙ্গে দিশা রবির পক্ষে আদালতে বলা হয়েছিল যে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করা যদি দেশদ্রোহিতা হয় তবে তার চেয়ে কারাগারে থাকাই ভাল।
পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল যে দিশা একটি টুলকিট প্রস্তুত করেছে যা খালিস্তানের আইনজীবীদের নির্দেশে করা হয়েছে। এসবই ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিল পুলিশ। খালিস্তানের সমর্থকরা এই আন্দোলনকে তাদের পক্ষে নিয়ে এসে তাদের পতাকা আরও শক্তিশালী করতে চায় বলে মন্তব্য করেছিল পুলিশ।
পুলিশের দাবি ছিল, এটি নিছক একটি টুলকিট ছিল না, ভারতকে অসম্মানিত করার একটি খসড়া ছিল। পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, দিশা রবি জানতেন যে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং ই-মেইল কোনও আইনি জট বাঁধতে পারে, তাই সমস্ত চ্যাট এবং মেলগুলি মুছে ফেলেছিলেন দিশা। পুলিশের পক্ষ প্রশ্ন তোলা হয়, দিশা যদি কোনও ভুল না করে তবে কেন তিনি তাঁর পথ সাফ করার জন্য প্রমাণ লোপাট করলেন? এটি তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ‘ডিজিটাল স্ট্রাইকের’ পরেও ভারতের সিংহভাগ ব্যবসায় চিন
শুক্রবারই টুলকিট কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলিকে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে সঠিক সূত্র থেকে খবর নিয়ে তবেই তা সম্প্রচার করা হয়। পরিবেশকর্মী দিশা গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বেশ কিছু ব্যক্তিগত চ্যাট সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হচ্ছিল। তা নিয়েই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন দিশা। সংবাদমাধ্যমগুলির এ ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া উচিৎ বলেও উল্লেখ করা হয়। আগেই তিনটি সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখেই পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সংবাদমধ্যমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।