‘মোদী সরকারের হাতের পুতুল পঞ্জাব প্রধান’, অমরিন্দরকে কটাক্ষ ‘একনায়ক’অরবিন্দের

‘মাখন লাগিয়ে’ মন জয় করার এই চেষ্টাকেই কার্যত তোপ দেগেছেন অমরিন্দর সিং। তাঁর সাফ দাবি, রাজধানী এখন ‘একনায়কের’। বিল থেকে আইনে রূপান্তর কেবল কলমের এক খোঁচাতেই সম্ভব।

'মোদী সরকারের হাতের পুতুল পঞ্জাব প্রধান’, অমরিন্দরকে কটাক্ষ 'একনায়ক’অরবিন্দের
দুই প্রধানের তরজা, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 03, 2020 | 11:19 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল : দুই মিত্রের মধ্যে যুযুধান দূরত্ব। ‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন অমরিন্দর। বিজেপির সঙ্গে গোপন ‘আঁতাত’ এবার স্পষ্ট।’ পঞ্জাব প্রধানের আচরণে কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েই এভাবে মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi Prime Minister)অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)।

গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি জুড়ে চলছে কৃষক আন্দোলন(Farmers’ Protest)। নয়া কৃষি আইন(Central Farm Law) বাতিলের দাবিতে সোচ্চার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু, ‘গঙ্গাজলের শপথ’ জলেই গিয়েছে। অনড় কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাপের মুখে মোদী সরকার। আইন নিয়ে আলোচনা করতে কৃষকদের বুরারি ময়দানে সরে যেতে বলে শাহী দরবার। কিন্তু, তাতেও ‘নিষ্ফলা’ কেন্দ্র।

দিল্লি(Delhi) পুলিসের দাবি ছিল, বুরারি-সহ দিল্লির নয়টি ময়দানকেই উন্মুক্ত জেলখানা করে দেওয়া হবে। কিন্তু, রাজ্যপ্রধান হিসেবে তা হতে দেননি তিনি। এমনটাই মত কেজরীবালের। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী(Prime Minister Of Punjab) হয়েও অমরিন্দর মোদীর হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন। কৃষকদের আটকাতে কেন্দ্র আমায় চাপ দিচ্ছে। কিন্তু,আমি তা মানিনি। সিংজী বলেছেন, আমি কালা কানুন পাস করিয়েছি।’

আরও পড়ুন : অস্বস্তি কাটল না বিজেপির ৭ নেতার! তথ্যে ত্রুটি থাকায় মামলা প্রত্যাহার মেননের

উল্লেখ্য, কৃষি আইন(Central Farm Law) তৈরির প্রস্তুতির শুরু ২০১৯ সালে। সেই সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একটি কমিটি গঠন করে যার সভ্য ছিলেন পঞ্জাব প্রধান অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। কিন্তু, তিনি তখন কোনও বিরোধিতা করেননি। পূর্বস্মৃতি উস্কে দিয়ে কেজরীবাল(Arvind Kejriwal) আরও বলেন, ‘কৃষকরা না খেয়ে মরছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনীতি কি না করলেই নয়? এখন আমাদের উচিৎ কৃষকদের পাশে থাকা।’ বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে কেবল অমরিন্দ নয়, মোদী সরকারকেও এক হাত নিয়েছেন অরবিন্দ। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কেন এত সময় লাগবে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ‘মাখন লাগিয়ে’ মন জয় করার এই চেষ্টাকেই কার্যত তোপ দেগেছেন অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। তাঁর সাফ দাবি, রাজধানী এখন ‘একনায়কের’। বিল থেকে আইনে রূপান্তর কেবল কলমের এক খোঁচাতেই সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী যদি এতই ভাবতেন তবে ২৩ নভেম্বর বিল পাশ হওয়ার আগে বাধা দিলেন না কেন! কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে পর্যালোচনায় বসলেন না কেন? অমরিন্দের এই মন্তব্যেই বেজায় চটেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী(Delhi Prime Minister)। আত্মপক্ষ সমর্থনে বৈঠকে তিনি জানান, কেন্দ্রের ব্যভিচারকে কোনওরকম বাহবা দিতে নারাজ তিনি। যে কৃষকেরা অন্য রাজ্য বা সীমান্ত থেকে ছুটে এসেছেন লড়াইয়ে অংশ নিতে, তাঁরা এ রাজ্যের অতিথি। আর অতিথি নারায়ণের সমান। কৃষকদের দাবি মানা হোক কেন্দ্রের কাছে এমনটাই আর্জি দিল্লি প্রধানের।