Dowry: ৩৫ লক্ষ বিয়েতে খরচের পর ২০ লক্ষ পণের দাবি, না পেয়ে বউদিকে ‘ধর্ষণ’ দেওরের

Pilbhit: ওই মহিলার অভিযোগ, বিয়ে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে আসার কয়েক দিন পর থেকেই ক্রমাগত টাকার দাবিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

Dowry: ৩৫ লক্ষ বিয়েতে খরচের পর ২০ লক্ষ পণের দাবি, না পেয়ে বউদিকে ‘ধর্ষণ’ দেওরের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2023 | 8:15 AM

পিলভিট: পণ প্রথা দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে। পণবিরোধী আইনও রয়েছে দেশে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পণের দাবিতে অত্যাচারের শিকার হতে হয় বহু মহিলাকে। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের পিলভিটের এ রমকই এই ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে এক বধূকে পণের দাবিতে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার অভিযোগ, বিয়ে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে আসার কয়েক দিন পর থেকেই ক্রমাগত টাকার দাবিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পণ দিতে না পারায় মহিলার দেওর তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ। স্বামীর সহযোগিতাতেই যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ধর্ষণ করে মহিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা।

জানা গিয়েছে, পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে নির্যাতিতা হওয়া মহিলার বয়স ২২ বছর। ২০২২ সালের ১২ মে তাঁর বিয়ে হয়েছিল পিলভিটের এক যুবকের সঙ্গে। সেই বিয়েতে যুবতীর বাপের বাড়ির লোকেরা ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে আসর কয়েক দিন পর থেকেই পণের টাকার দাবি করা হয় বলে অভিযোগ ওই মহিলার। অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করে বলে অভিযোগ। সেই দাবি না মেটাইতেই অত্যাচার চলেছে বলে জানা অভিযোগ উঠেছে। মানসিক অত্যাচার, মারধরের পাশাপাশি স্বামী ও দেওর মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। এর পর বিচারক ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির ৮ জনকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। এর পর তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে সুনঘড়ি থানার স্টেশন হাউস অফিসার রাজীব শর্মা বলেছেন, “নির্যাতিতার স্বামী, দেওর, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ মোট ৮ জনক্ গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পণবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।”