Bindeshwar Pathak: প্রয়াত ‘সুলভ’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠক, ১৭০০ শহরে তৈরি করেছিলেন শৌচালয়
Bindeshwar Pathak: ড. পাঠকের উদ্যোগে ১৭৪৯ টি শহরে অন্তত ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শৌচালয় তৈরি হয়েছিল। স্টকহোম ওয়াটার প্রাইজ-এর মতো স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে ছিল এনার্জি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।
নয়া দিল্লি: প্রয়াত বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক। মঙ্গলবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হয়েছে তাঁর। বিন্দেশ্বর পাঠকের সংস্থা সুলভ ইন্টারন্যাশনাল দেশ জুড়ে এক বিপ্লব তৈরি করেছিল। একের পর এক শহরে শৌচালয় তৈরি করাই শুধু নয়, মানবাধিকার, পরিবেশ রক্ষায় একাধিক অবদান রয়েছে তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার সকালে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনেও অংশ নিয়েছিলেন ড. পাঠক। পতাকা উত্তোলন করার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সারাজীবন তিনি সমাজ ও পরিবেশ রক্ষার কাজ করে গিয়েছেন।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, দেশের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। বিন্দেশ্বর পাঠক সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করেছেন বরাবর। স্বচ্ছ ভারতের প্রতি তাঁর আগ্রহ কতটা ছিল, সে কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী। পদ্ম ভূষণ সম্মানে সম্মানিতও হয়েছেন তিনি।
ড. পাঠকের উদ্যোগে ১৭৪৯ টি শহরে অন্তত ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শৌচালয় তৈরি হয়েছিল। স্টকহোম ওয়াটার প্রাইজ-এর মতো স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে ছিল এনার্জি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। প্যারিসের ফরাসি সেনেট থেকে পেয়েছিলেন লেজেন্ড অব প্ল্যানেট সম্মান। ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কে বিন্দেশ্বর পাঠকের সম্মানে একটি দিন নির্দিষ্ট করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৪ এপ্রিল দিনটি বিন্দেশ্বর পাঠক ডে হিসেবে পালিত হয় নিউ ইয়র্কে।
বিন্দেশ্বর পাঠকের কাছে সামাজিক সাম্যই ছিল অন্যতম লক্ষ্য। তিনি একসময় চোখের সামনে দেখেছিলেন অস্পৃশ্য বলে এক যুবককে বাঁচাতেও যায়নি কিছু মানুষ। ষাঁড় হামলা চালালেও কার্যত সেই যুবককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সমতাই হয়ে ওঠে ড. পাঠকের লক্ষ্য। প্রথম জীবনে গান্ধী সেন্টেনারি কমিটিতে কাজ করতেন তিনি। মহাত্মা গান্ধীকেই জীবনের আদর্শ বলে মেনে এসেছেন তিনি।