AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ড্রোন রাস্তায় তৈরি হয় না, রাষ্ট্রের সহযোগিতা থাকে’, কোন দিকে ইঙ্গিত সেনা কম্যান্ডারের?

Jammu Airport Blast: লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডে জানান, সেনা ভাল করেই জানে ড্রোন বা ওই জাতীয় বিষয় রাষ্ট্রের সাহায্যপ্রাপ্ত একটা পদ্ধতি।

'ড্রোন রাস্তায় তৈরি হয় না, রাষ্ট্রের সহযোগিতা থাকে', কোন দিকে ইঙ্গিত সেনা কম্যান্ডারের?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 30, 2021 | 3:00 PM
Share

নয়া দিল্লি: জম্মু বিমানঘাঁটিতে (Jammu Airport) জোড়া বিস্ফোরণের পর লাগাতার সেনাঘাঁটির কাছে আসছে ড্রোন। বারবার কঠোর নিরাপত্তা কাটিয়ে কীভাবে ঢুকে পড়ছে ড্রোন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখনও জম্মু বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণে যে ড্রোন ব্যবহার হয়েছিল তার উৎস জানা যায়নি। এনআইএ তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে কোনও উত্তর আসতে পারে। তার মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি শ্রীনগরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডের। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ড্রোন রাস্তায় তৈরি হয় না এতে রাষ্ট্রের সহযোগিতা থাকে। পাশাপাশি তিনি জম্মু বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

জম্মু বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল গভীর রাতে। প্রথম বিস্ফোরণ ১টা ৩৭ মিনিটে, দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ১টা ৪৩ মিনিটে। রাতের অন্ধকারে এহেন নিখুঁত বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ড্রোন। এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডে জানান, সেনা ভাল করেই জানে ড্রোন বা ওই জাতীয় বিষয় রাষ্ট্রের সাহায্যপ্রাপ্ত একটা পদ্ধতি। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে পঞ্জাবে একটি ক্ষতিগ্রস্ত ড্রোন পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এর আগেও গত বছর জুনে বিএসএফ কাঠুয়া জেলায় একটি স্পাই ড্রোনের হদিশ পেয়েছিল।

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দীলবাগ সিংও এর আগে লস্কর যোগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কারণ ড্রোন হামলার পরই জম্মু থেকে আইইডি-সহ গ্রেফতার হয়েছিল ২২ বছরের লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি। একই ইঙ্গিত দিয়ে জেনারেল পান্ডের দাবি, এই ড্রোন হামলা দেশের কাছে একটা থ্রেট যা ক্রমাগত বাড়ছে। তবে সেনাও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি। এই সমস্যাগুলিকে প্রতিরোধ করার বিষয়েও তিনি আত্মবিশ্বাসী বলে জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডে।

আরও পড়ুন: প্রথম ড্রোন হামলার থেকেই শিক্ষা, পাল্টা জবাব দিতে কঠোর নীতি আনছে কেন্দ্র