Drug Lab in Noida: নয়ডায় মাদক তৈরির কারখানা! ৯ আফ্রিকানকে গ্রেফতার, উদ্ধার ২০০ কোটি টাকার ড্রাগ
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মেথামফেটামাইনের পাশাপাশি মিথাইল অ্যালকোহল, হাইপো ফসফরিক অ্যাসিড, হাইড্রোসালফিউরিক অ্যাসিড, আয়োডিন ক্রিস্টাল, অ্যামোনিয়া, এফেড্রিন, অ্যাসিটোন, সালফার ও কপাল সল্ট উদ্ধার হয়েছে।
নয়াদিল্লি: দেশের রাজধানী এলাকায় মাদক তৈরির কারখানার পর্দাফাঁস করল পুলিশ। গ্রেটার নয়ডা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতকে ওই মাদক তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিদেশি মূলত আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে ছিল সেই অভিযোগ। বুধবার সেখানে হানা দেয় পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছে ৪৬ কেজি মেথামফেটামাইন। উদ্ধার হওয়া ওই মাদকের বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই মাদক কারখানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন আফ্রিকার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে গৌতম বুদ্ধ নগরের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওই মাদকের পাশাপাশি মাদক তৈরির প্রচুর কাঁচামালও উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে ৮ জন নাইজেরিয়ার নাগরিক ও এক জন সেনেগালের নাগরিক।
এই মাদক উদ্ধার নিয়ে গৌতম বু্দ্ধ নগরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী সিং বলেছেন, “বিশুদ্ধ অবস্থায় ২০০ কোটি টাকার মেথামফেটামাইন উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেটার নয়ডা এলাকা থেকে ৯ জন আফ্রিকানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেথামফেটামাইনের পাশাপাশি মেথামফেটামাইন তৈরির উপাদানও উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।”
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মেথামফেটামাইনের পাশাপাশি মিথাইল অ্যালকোহল, হাইপো ফসফরিক অ্যাসিড, হাইড্রোসালফিউরিক অ্যাসিড, আয়োডিন ক্রিস্টাল, অ্যামোনিয়া, এফেড্রিন, অ্যাসিটোন, সালফার ও কপাল সল্ট উদ্ধার হয়েছে। দিল্লি এলাকায় ওই চক্রটি মাদক সরবরাহ করত বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথা থেকে মাদক তৈরির কাঁচামাল সেখানে আসত। কী ভাবে গ্রাহকদের কাছে মাদক পৌঁছে দেওয়া হত। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িয়ে। বিদেশে এর সরবরাহ শৃঙ্খল রয়েছে কি না এ সব ব্যাপার তদন্ত করে দেথছে পুলিশ।