ED arrests ex-NSE chief: ‘যোগীর নির্দেশে’ ফোনে পাততেন আড়ি, গ্রেফতার জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ!
ED arrests ex-NSE chief: বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই), কর্মচারীদের ফোনে বেআইনি আড়ি পাতা এবং নজরদারির মাধ্যমে তহবিল তছরুপের অভিযোগে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই), ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কর্মচারীদের ফোনে বেআইনি আড়ি পাতা এবং নজরদারির মাধ্যমে তহবিল তছরুপের অভিযোগে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। আগেই, চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডে ও এনএসই-র প্রাক্তন এমডি তথা সিইও রবি নারায়ণের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-এর অধীনে, ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়ের করেছিল ইডি। এক সপ্তাহ পরই চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হল।
সিবিআই-এর অভিযোগ, রবি নারায়ণ এবং চিত্রা রামকৃষ্ণ দিল্লির এক সংস্থায় যোগদান করেছিলেন। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডে। সিবিআই-এর দাবি, বেআইনিভাবে শেয়ার বাজারের কর্মচারীদের ফোন কলগুলিতে আড়ি পাতার উদ্দেশ্য়েই ওই সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। এই মামলার বিষয়ে সিবিআই এবং ইডি আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত করছে। পৃথক দুটি অভিযোগপত্রও বেশ করেছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দুই অভিযোগপত্রেই সঞ্জয় পান্ডে, তাঁর সেই সংস্থা, এনএসই-র দুই প্রাক্তন এমডি তথা সিইও রবি নারায়ণ এবং চিত্রা রামকৃষ্ণ, এনএসই-র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি বারাণসী এবং প্রিমিসেস হেড মহেশ হলদিপুরের নাম রয়েছে।
চিত্রা রামকৃষ্ণকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। এদিন প্রথমে দিল্লির এক আদালতে চিত্রা রামকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডি-র আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ বিচারক সুনয়না শর্মা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিলেন। বিচারকের নির্দেশে প্রাক্তন এনএসই প্রধানকে জেল থেকে আদালতে হাজির করে ইডি। এরপর, বিচারক ইডির আবেদন মেনে চিত্রা রামকৃষ্ণকে জেরার অনুমতি দিয়েছিলেন। পরে, ইডি অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে। চিত্রাকে ফের আদালতে হাজির করা হয়। জেরার প্রয়োজনে তাঁকে নয় দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল ইডি। তবে বিচারক সুনয়না শর্মা চারদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
তবে, চিত্রা রামকৃষ্ণের কাহিনিটি খুবই অদ্ভুত। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, হিমালয়ের এক আধ্যাত্মিক যোগীর কথায় তিনি চলতেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে, তাঁর কথাতেই তিনি ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। ইমেল মারফৎ হিমালয়ের সেই যোগীর সঙ্গে স্টক মার্কেটের সংবেদনশীল তথ্যও ভাগ করতেন। কে এই যোগী? সিবিআই তদন্ত করে দাবি করেছে এই যোগী হলেন আনন্দ সুব্রমনিয়ন। সিকিউরিটিজ মার্কেটে একেবারে নতুন হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে কৌশলগত উপদেষ্টা হিসাবে এনএসই-তে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২ বছরের মধ্যে, তাঁকে গ্রুপ অপারেটিং অফিসার তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা প্রাক্তন এমডি এবং সিইও রবি নারাইন-এর উপদেষ্টা করা হয়। মাত্র ২-৩ বছরে তিনি ৬ বারের বেশি পদোন্নতি পেয়েছিলেন। সুব্রমনিয়নের নিয়োগ-সহ এনএসই-র সব কর্মচারীদের পদোন্নতি এবং বেতন কাঠামো ঠিক করার বিষয়ে যোগীর পরামর্শ নিতেন বলে জানিয়েছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ।