আক্রান্তের হার ছিল ৫.৩, ভুয়ো রিপোর্টের ‘ম্যাজিকে’ কুম্ভে তা কমে দাঁড়াল ০.১৮ শতাংশে!

ভুল তথ্যের জেরেই করোনা আক্রান্ত রোগীরাও মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেই ঘুরে বেরিয়েছেন এবং তাদের থেকে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এভাবেই গোটা দেশের করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসের দোরগোড়ায়।

আক্রান্তের হার ছিল ৫.৩, ভুয়ো রিপোর্টের 'ম্যাজিকে' কুম্ভে তা কমে দাঁড়াল ০.১৮ শতাংশে!
শাহি স্নানে পুণ্যার্থীদের ভিড়। ফাইল ছবি। PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 9:49 AM

নয়া দিল্লি: করোনাকালে কুম্ভমেলার আয়োজন নিয়ে সমালোচনা ছিল আগে থেকেই। করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে কুম্ভ মেলা আয়োজক ও প্রশাসনকেই। ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করা ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি। শুক্রবারই পাঁচটি ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের শীর্ষকর্তাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থা।

উত্তরাখণ্ড পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। প্রাথমিক তদন্তেি জানা য়ায়, কুম্ভ মেলা চলাকালীন আগত পুণ্যার্থীদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার বরাত দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই পাঁচটি ল্যাবের মধ্যে একটিও পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষা করেনি, ভুয়ো নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিয়ে প্রশাসনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। জানা গিয়েছে, পাঁচটি ল্য়াব মিলিয়ে প্রায় ৩.৪ কোটি টাকার বিল পাঠানো হয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে। এরমধ্যে বেশ কিছু অংশ টাকা মিটিয়েও দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কীভাবে জালিয়াতি করা হয়েছে?

ইডির তরফে জানানো হয়েছে,  বিভিন্ন ভুয়ো নামে করোনার জাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একই নাম, ফোন নম্বর ও বাড়ির ঠিকানাও ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি, করোনা পরীক্ষার তালিকায় এমন ব্যক্তিদেরও নাম রয়েছে, যারা কুম্ভমেলায় যাননি।

এই ভুয়ো রিপোর্টের ঠেলায় হরিদ্বারে কুম্ভমেলা চলাকালীন আক্রান্তের হার ছিল ০.১৮ শতাংশ, যেখানে আসলে আক্রান্তের হার ছিল ৫.৩ শতাংশ। ভুল তথ্যের জেরেই করোনা আক্রান্ত রোগীরাও মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেই ঘুরে বেরিয়েছেন এবং তাদের থেকে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এভাবেই গোটা দেশের করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসের দোরগোড়ায়।

ইডির তরফে জানানো হয়েছে, নোভাস পাথ ল্যাবস, ডিএনএ ল্যাব, ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিস, ডঃ লাল চান্দানি ল্যাব ও নালওয়া ল্যাবরেটরিতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক তথ্য, ভুয়ো বিল, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও জমির দলিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ৩ দিনেই ছক কষে ফেলা হবে আগামী ৩ বছরের, মন্ত্রিসভার ম্যারাথন বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর