Raids on PFI : প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার ছক PFI-র, দাবি ইডির

PM Modi : ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিহারে প্রধানমন্ত্রীর সফরকালেই তাঁর উপর হামলা চালানোর ছক কষেছিল পিএফআই। এক সদস্যের বিরুদ্ধে রিম্যান্ড নোটে এই দাবি করেছে ইডি।

Raids on PFI : প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার ছক PFI-র, দাবি ইডির
ফাইল ছবি (সৌজন্যে : PTI )
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 12:32 PM

নয়া দিল্লি : বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (Popular Front Of India) এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (Social Democratic Party Of India) বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালায় এনআইএ ও ইডি। সেই অভিযানে প্রায় ১১ টি রাজ্যে থেকে ১০০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর হামলার ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, পটনায় নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় হামলা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু সংবেদনশীল জায়গায় হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক পদার্থ ও অস্ত্রশস্ত্র জোগাড়ের অভিযোগ উঠেছে পিএফআই-র বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ইডি-এনআইএ-র যৌথ অভিযানে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পিএফআই সদস্য শফিকিউ পায়েথ। এই শফিকিউয়ের বিরুদ্ধে রিম্যান্ড নোটে ইডি দাবি করেছে, পিএফআই একটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর হামলার জন্য একটি প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করেছিল। এই বছর ১২ জুলাই মাসে বিহারের পটনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ই সেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল এই সংগঠনের।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালেও অক্টোবরে মোদীর উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। সেই সময় এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। তারা পিএফআই-র মতো বোমাবাজিরই পরিকল্পনা করেছিল। সেই সময় মোদীর ভাষণের পরেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে গত কয়েক বছর ধরে এই সংগঠন ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। মূলত দেশ জুড়ে দাঙ্গা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটানোর জন্যই গত কয়েক বছর ধরে এই বিপুল অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অভিযানের পর পিএফআই-র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে ১০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে চারজন পিএফআই-র সদস্য ছিল। সংগঠনের তিনজন আধিকারিককে ইডি হেফাজতে নিয়েছে। এই তিনজন হল পারভেজ আহমেদ, মহম্মদ ইলিয়াস ও আবদুল মুকিত। তাদের সবাইকেই ২০১৮ সাল থেকে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেইসময় পিএফআই-র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একসময়ের কাতার নিবাসী পায়েথের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, ভারতে তার এনআরআই অ্যাকাউন্ট ব্য়বহার করে বিদেশ থেকে এদেশে পিএফআই-কে টাকা পাঠাতে সাহায্য় করত পায়েথ। মূলত দেশে অশান্তি তৈরির জন্যই এই টাকা পাঠানো হত বলে জানিয়েছে ইডি। গত বছর এই কারণে পায়েথের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। ইডি জানিয়েছে, ‘ গত কয়েক বছরে পিএফআই-র অ্যাকাউন্টে ১২০ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে। এই টাকার একটা বড় অংশ দেশ ও বিদেশ থেকে অজানা ও সন্দেহজনক উৎস থেকে জমা পড়েছে অ্যাকাউন্টে।’ কেন্দ্রীয় সংস্থার আরও দাবি করেছে, ‘দেশে অশান্তি জিরিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন বেআইনি কাজ করার জন্যই এই অর্থ সাহায্য় এসেছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিল্লি দাঙ্গাতেই সীমিত নয়। হাথরসে গিয়ে পিএফআই সদস্যরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙা, দাঙ্গা বাঁধানো, সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।’ এদিকে তদন্ত চলাকালীন পিএফআই-র একাধিক ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ও তাদের সদস্যদের খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে।