Election Commission: আমরা ১০০ শতাংশ নিরপেক্ষ: নির্বাচন কমিশন
Election Commission of India: কেন দেরিতে গুজরাট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন? কী জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাদীব কুমার?
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর), গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সময়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। গুজরাটের নির্বাচনের সূচি নির্ধারণে কমিশনের তরফে কোনও রকম পক্ষপাত বা ইচ্ছাকৃত দেরি করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজীব কুমার জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। পক্ষপাতহীনতা নির্বাচন কমিশনের গর্বের উত্তরাধিকার। নির্বাচন কমিশন ১০০ শতাংশ নিরপেক্ষ।
গত মাসে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সাধারণত একই সঙ্গে গুজরাট নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করা হলেও, এবার অন্য পথে হেঁটেছে কমিশন। ** তবে, দুই রাজ্যেরই ভোট গণনা হবে একই দিনে। গুজরাট নির্বাচনের সূচি দেরিতে ঘোষণা করা নিয়ে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিল। তারা দাবি করেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাটে প্রচার সম্পন্ন করার সময় দেওয়ার জন্যই, ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটের সূচি প্রকাশে দেরি করছে কমিশন। এদিন গুজরাটের সূচি প্রকাশের আগেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।
এদিন সব অভিযোগের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “কেউ কেউ নেতিবাচক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। কথার থেকে কর্ম এবং কর্মফল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কোনও সময়ে যে দলগুলি কমিশনের সমালোচনা করে তারা নির্বাচনে চমকপ্রদ ফল পায়। এই মাঠে কোনও থার্ড আম্পায়ার নেই, কিন্তু ফলই সত্যের সাক্ষী।” গুজরাট নির্বাচনের সূচি প্রকাশে দেরির অভিযোগ নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, “গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। তাই এখনও যথেষ্ট সময় রয়েছে। গণনার দিন থেকে গুজরাট বিধানসভার সময়সীমার মধ্যে ৭২ দিনের ফারাক রয়েছে। আবহাওয়া, সর্বশেষ নির্বাচনের দিন, গুজরাট এবং হিমাচলের একইসঙ্গে ফল প্রকাশের রীতি – এমন অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্বাচনের দিন নির্ধারণ নির্ভর করে। আমাদের অনেকগুলি জিনিসের ভারসাম্য রাখতে হয়।”
গত রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটে ঘটে গিয়েছে বড় বিপর্যয়। এখনও সেই শোক এবং ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি দেশ। এদিন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময়, সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই মোরবি সেতু বিপর্যয়ে নিহতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর হতাহতদের জন্য ত্রাণ ঘোষণা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল হবে কি না, এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এই বিষয়ে রাজীব কুমার বলেছেন, “যদি সেই সব ঘোষণার ফলে ভোটে কেউ সুবিধা পায়, সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।”