Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসেবে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন: সূত্র
Jharkhand Chief Minister Hemant Soren: শুক্রবার (২৬ অগস্ট) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসেবে 'অযোগ্য' ঘোষণা করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস।
রাঁচি: বিধায়ক হিসেবে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার (২৬ অগস্ট) এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানিয়েছিল, হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তারা সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে।
যদিও বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিশ্বাসযোগ্য এক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বেআইনি খনি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে তারা তাঁকে শুধুমাত্র ‘অযোগ্য’ ঘোষণার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ, রাজভবন থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে, হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে, তাঁর সামনে ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে। তারপর ইউপিএ সরকারের বিধায়করা তাঁকে নেতা হিসাবে পুনর্নির্বাচিত করলে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন।
একদিন আগেই নির্বাচন কমিশন, এক মুখ বন্ধ খামে ঝাড়খণ্ড রাজভবনে এই বিষয়ে তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছিল। সেই খামে কী লেখা আছে, তাই নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয় রাজনৈতিক মহল। চাইলে কমিশন হেমন্ত সোরেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়েও অযোগ্য ঘোষণা করতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বিশিষ্ট নেতা সর্যু রায়ও বলেছেন, ‘অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এক সূত্র’ তাঁকে জানিয়েছে যে, কমিশন হেমন্ত সোরেনকে শুধুমাত্র ‘বিধায়ক পদের জন্য অনুপযুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছে। হিন্দিতে টুইট করে তিনি লিখেছেন, “রাজভবন থেকে অযোগ্যতার বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে বা মাননীয় আদালত থেকে এই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ পেতে হবে।”
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে নিজের নামে একটি সরকারি খনির ইজারা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করার আবেদন করা হয়েছিল। বিজেপি দাবি করেছিল, হেমন্ত সোরেন ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯-এর ক ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী, “সরকারে থেকে, সেই সরকার কর্তৃক গৃহীত কোনও কাজের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহের জন্য বা সেটি কার্যকর করার জন্য, যদি কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের বাণিজ্য বা ব্যবসাকে একটি চুক্তি পাইয়ে দেন, তবে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।” সূত্রের দাবি, এই ক্ষেত্রে নিজেকে খনির ইজারা দেওয়ার জন্য হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে কমিশন। শিগগিরই রাজ্যপাল রমেশ বাইস এই বিষয়ে সরকারি ঘোষণা করবেন।
সূত্রের দাবি, এই ক্ষেত্রে নিজেকে খনির ইজারা দেওয়ার জন্য হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে কমিশন। সংবিধানের ১৯২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন বিধায়কের অযোগ্যতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন মতামত দিতে পারে। রাজ্যপালকে সেই মত অনুযায়ী ঘোষণা করতে হবে। সূত্রের খবর, কমিশনের সুপারিশটি খতিয়ে দেখছেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস, শিগগিরই তিনি এই বিষয়ে সরকারি ঘোষণা করবেন।