Shiv Sena Tussle: ‘শিবসেনা তুমি কার?’, নেতৃত্ব প্রমাণ করতে ঠাকরে-শিন্ডেকে বিশেষ নির্দেশ কমিশনের

Shiv Sena Tussle: শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, দুই শিবিরকেই আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ জমা দিয়ে জানাতে হবে শিবসেনার নেতৃত্বে কে থাকবেন।

Shiv Sena Tussle: 'শিবসেনা তুমি কার?', নেতৃত্ব প্রমাণ করতে ঠাকরে-শিন্ডেকে বিশেষ নির্দেশ কমিশনের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2022 | 7:00 AM

মুম্বই: সরকার বদলালেও, রাজ্যের ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চলছে আদালতে। এবার দল নিয়েও শুরু হল শিবসেনার আদি ও নব্যের যুদ্ধ। শিবসেনার নেতৃত্ব কার দখলে রয়েছে, তা প্রমাণ করতে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডেকে যথাযথ তথ্য-প্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে এই তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে, তারপর নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে শুনানি শুরু করবে।

মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পরই শিবসেনার ৪০ জন বিধায়কদের নিয়ে আলাদা হয়ে যান একনাথ শিন্ডে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতন হলে, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই নতুন সরকার গঠন করেন একনাথ শিন্ডে। নতুন শিবির দাবি করে, তারাই শিবসেনা। অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও জানান তাঁর বাবার তৈরি দলের নাম বা প্রতীক ব্যবহারের অধিকার অন্য কারোর নেই। শিবসেনা একমাত্র তাদেরই, এই দাবি জানিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব। পাল্টা চিঠি লিখে একনাথ শিন্ডেও জানান তাঁর কাছে শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে। লোকসভার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জনেরও সমর্থন রয়েছে।

শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, দুই শিবিরকেই আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ জমা দিয়ে জানাতে হবে শিবসেনার নেতৃত্বে কে থাকবেন। একইসঙ্গে লিখিত বিবৃতিতে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে দলের অন্দরে এই কলহ, যার জেরে ৪০ বিধায়ককে নিয়ে একনাথ শিন্ডের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করা নিয়ে তাদের কী দৃষ্টিভঙ্গি-মতামত রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, “এটা প্রমাণিত যে শিবসেনার অন্দরে বিভেদ তৈরি হয়েছে, একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একনাথ শিন্ডে, অপর অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। দুই অংশেরই দাবি, তারাই আসল শিবসৈনিক এবং তাদের নেতা দলের সভাপতি। দুই বিরোধী গোষ্ঠীর দাবিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে দুই পক্ষকেই লিখিত বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।”

এর আগে একনাথ শিন্ডের শিবির মহারাষ্ট্রের বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে ঠাকরে শিবিরকে যেন বরখাস্ত করা হয়। তবে গত ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই আর্জিকে স্থগিতাদেশ জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।