‘সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়’, সমালোচনায় উলট পুরাণ নির্বাচন কমিশনের মুখে

এ দিনকমিশন জানায়, নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে মনে করে, কোনওভাবেই সংবাদ সম্প্রচারের উপর সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়।

'সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়', সমালোচনায় উলট পুরাণ  নির্বাচন কমিশনের মুখে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 2:03 PM

নয়া দিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেই ভৎর্সনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সেই সম্পর্কিত মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণের উপর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন পরিবেশন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। পরেরদিন সুপ্রিম কোর্টেও পাল্টা মামলা দায়ের করেছিল কমিশন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রশ্ন ওঠাতেই পিছু হটল কমিশন।

তাদের তরফে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে মনে করে, কোনওভাবেই সংবাদ সম্প্রচারের উপর সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়।”

এ দিন কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, সম্প্রতি সময়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সম্পর্ক কেমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে, তা পর্যালোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু মিডিয়ো রিপোর্টও হাতে এসেছে। এই পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে তাঁরা মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের উপরই বিশ্বাসী।

বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়, কমিশনের প্রতি সদস্য ও সংগঠিতভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে বিগত দিনে সংবাদ মাধ্যম যেভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত কভারেজ করেছে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতেও করবে, তা নির্বাচনী গণতন্ত্রকে শক্তাশালী করার লক্ষ্যেই। নির্বাচনী গণতন্ত্রকে জোরদার করতে গণমাধ্যমের যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তাকে স্বীকৃতি দেয়।নির্বাচন কমিশন।

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে নিয়ে এভাবে যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যায় না, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানত না।

নির্বাচন পরিচালনের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতী বজায় রাখার ক্ষেত্রটি নির্বাচন কমিশন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশন যে কাজ করতে চায়, তা অপরিবর্তিতই থাকবে।

যে সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ করেছিল, তখন পশ্চিবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট চলছিল। গত ২৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর কোভিড সংক্রমণ নিয়ে একটি মামলা শুনানি চলাকালীন “ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এককভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যায়।” এরপরই বিতর্করের শুরু হয়।

আরও পড়ুন: উচ্চতায় গরমিলে ঠাই নেই অক্সিজেন এক্সপ্রেসে, ৩০ ঘণ্টার পথ ৩ দিনে পাড়ি দিচ্ছে পঞ্জাবের ট্যাঙ্কার