উচ্চতায় গরমিলে ঠাই নেই অক্সিজেন এক্সপ্রেসে, ৩০ ঘণ্টার পথ ৩ দিনে পাড়ি দিচ্ছে পঞ্জাবের ট্যাঙ্কার
উচ্চতার সমস্যা দেখা দেওয়ায় বোকারো থেকে পুলিশি নিরাপত্তাতেই গ্রিন করিডরের মাধ্যমে পঞ্জাবের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
চন্ডীগঢ়: দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের তরফে চালু করা হয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। এক রাজ্য থেকে অন্যরাজ্যে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই চালু করা হয়েছে এই বিশেষ ট্রেন। কিন্তু সেই ট্রেনই পঞ্জাবে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলির ৯০ শতাংশেরই উচ্চতা অক্সিজেন এক্সপ্রেসের উচ্চতার তুলনায় বেশি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে সড়কপথেই অক্সিজেন আমদানি করতে হচ্ছে পঞ্জাবকে।
অক্সিজেন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে যে দূরত্ব মাত্র ৩০ ঘণ্টায় অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছিল, তা বর্তমানে সড়কপথে পৌঁছতে তিনদিন লাগছে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, যে ১৫টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার রয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪টিই ট্রেনের উচিচতার তুলনায় বেশি। সুতরাং যেকোনও মুহূর্তে ওভারহেডে ধাক্কা লেগে বিপদ ঘটতে পারে।
একই কারণ দেখিয়ে পঞ্জাবে ঝাড়খণ্ড থেকে অক্সিজেন সরবরাহেও না করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। উচ্চতার সমস্যা দেখা দেওয়ায় বোকারো থেকে পুলিশি নিরাপত্তাতেই গ্রিন করিডরের মাধ্যমে পঞ্জাবের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
পঞ্জাবের মুখ্য শিল্প সচিব অলোক শেখর জানান, রাজ্য সরকাকরের চরফে আরও দুটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে এই দুটিও ৩,৫ মিটার উচ্চতার বেশি হবে, যারফলে অক্সিজেন এক্সপ্রেসে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তিনি জানান, কেন্দ্রের তরফে ৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হয়েছে বোকারো থেকে পঞ্জাবের জন্য। আপাতত আমরা প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করতে পারছি।।