Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি অধিকর্তা পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ল
Supreme Court: দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হল শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। তবে কেন্দ্রের দাবি সম্পূর্ণ গ্রাহ্য হয়নি।
নয়া দিল্লি: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) প্রধানের মেয়াদ বাড়ল অবশেষে। কেন্দ্রের আবেদন মেনেই ইডি প্রধান (Enforcement Directorate Chief) হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে অক্টোবর পর্যন্ত নয়, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় কুমার মিশ্র ইডি-র প্রধান পদে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ‘দেশের স্বার্থে’ই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হল বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। তবে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আর কোনও অবস্থাতেই ইডি অধিকর্তা পদে সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, ইডি-র ডিরেক্টর পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। এব্যাপারে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি-র অধিকর্তা পদে থাকার বিষয়টি দেশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তাঁর অনুপস্থিতি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রের এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি অধিকর্তা পদে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি. আর গবাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চ। দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হল বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। তবে কেন্দ্রের দাবি সম্পূর্ণ গ্রাহ্য হয়নি। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি অধিকর্তা পদে থাকতে পারবেন সঞ্জয় কুমার মিশ্র।
এদিন ইডি অধিকর্তা পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানোর অনুমতি দিলেও চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের তরৎে আবেদন জানানো সলিসিটার তুষার মেহতার প্রতি শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, “এই বিভাগে কী সকলেই অযোগ্য, কেবল একজনই যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন? যদি ওই একজন ব্যক্তি না থাকেন, তাহলে কী পুরো দফতরে কোনও কাজ হবে না? এটা কি দফতরের করুণ অবস্থার ছবি তুলে ধরছে না?” যদিও সলিসিটার জেনারেল শীর্ষ আদালতের তোপ খণ্ডন করে যুক্তি দিয়েছেন, একজন ব্যক্তি অপরিহার্য নন। তবে FATF পর্যালোচনার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি থাকলেই দেশের স্বার্থে সুবিধাজনক।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইডি অধিকর্তা পদে নিযুক্ত হন সঞ্জয় কুমার মিশ্র। ২ বছরের জন্য তাঁকে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপর ২০২০ সালে অবসর গ্রহণের কয়েকদিন আগে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও ২ বছর বৃদ্ধি করা হয়। যা নিয়ে সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলায় কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিলেও এরপর আর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। কিন্তু, ২০২২ সালের নভেম্বরে ফের সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ ১ বছরের জন্য বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। যা নিয়ে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তারপর এভাবে মেয়াদ বৃদ্ধি বেআইনি বলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সঞ্জয় কুমার মিশ্র ১১ জুলাই পর্যন্ত ইডি অধিকর্তা পদে থাকতে পারবেন বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তারপর ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে ওই পদে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু, দেশের স্বার্থে ইডি অধিকর্তার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র।