Ernakulam blast: টিফিনবক্সে ছিল আইইডি, কেরলের বিস্ফোরণ ‘জঙ্গি হামলা’

Ernakulam blast: কেরলের এর্নাকুলামে ধর্মীয় প্রার্থনা সভায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ। ডিজিপি জানালেন, এই বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদী হামলা। একটি টিফিনবক্সে আইইডি রাখা ছিল। তার থেকেই বিস্ফোরণ হয়। এই হামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ সতর্কতায় দিল্লি পুলিশ।

Ernakulam blast: টিফিনবক্সে ছিল আইইডি, কেরলের বিস্ফোরণ 'জঙ্গি হামলা'
এর্নাকুলামের বিস্ফোরণ নাশকতা, জানালেন ডিজিপিImage Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2023 | 2:34 PM

এর্নাকুলাম: হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। বিস্ফোরকগুলি রাখা ছিল টিফিন বক্সে। রবিবার সকালে এর্নাকুলামের দারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতাই, কোনও দুর্ঘটনা নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেরল পুলিশ। তারা জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হবে। কেরলের পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস-এর মতো কোনও বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে। তবে, কী ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা বিশদ ফরেনসিক পরীক্ষার পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিস্ফোরণ সম্পর্কে কেরলের ডিজিপি ড. শইক দরবেশ সাহেব বলেছেন, “আজ সকাল ৯টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ জামরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। কনভেনশন সেন্টারটিতে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন চলছিল। পুলিশের সকল ঊর্ধ্বতন কর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। আমাদের অতিরিক্ত ডিজিপিও সেখানে যাচ্ছেন। আমিও শীগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছব। আমরা এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছি। এর পিছনে কাদের হাত আছে আমরা তা দ্রুত খুঁজে বের করব এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের জন্য একটি আইইডি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে আরও তদন্তের প্রয়োজন।”

এদিকে, কেরলের কালামাসেরির কনভেনশন সেন্টারে এই বিস্ফোরণের পর হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লি পুলিশে। জনবহুল জায়গায় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তারা জানিয়েছে, যে কোনও গোয়েন্দা তথ্যই খতিয়ে দেখা হবে। কোনওকিছুই হালকাভাবে নেওয়া হবে না। এদিকে, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে, ভারতের ইহুদি সম্প্রদায় অধ্যুষিত জায়গাগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দুই আইএসআইএস জঙ্গি। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়েই মুম্বইয়ের ইহুদিদের এক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তারা রেইকি চালিয়ে সেই ভিডিয়ো পাঠিয়েছিল বিদেশী জঙ্গিদের কাছে। মধ্য প্রদেশের রতলমে যে আল সুফা জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তারাও ভারতে ইহুদিদের ভবনগুলিকে নিশষানা করছিল বলে জানা গিয়েছে।