Farmer: ‘কী করব এবার…’, সরকারি অফিসের মেঝেয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছেন কৃষক, ভাইরাল ভিডিয়ো

Farmer: সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করলে শঙ্করলাল হতাশা উগরে দিয়ে বলেন, 'মাফিয়ারা আমাকে হয়রান করে দিচ্ছে। তহশিলদারের ভুলেই এই অবস্থা হয়েছে আমার।' সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তিনি। তিনি বারবার বলেন, কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

Farmer: 'কী করব এবার...', সরকারি অফিসের মেঝেয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছেন কৃষক, ভাইরাল ভিডিয়ো
মেঝেতে গড়িয়ে কাঁদছেন কৃষকImage Credit source: twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 17, 2024 | 8:13 PM

ভোপাল: সরকারি অফিসের বারান্দায় গড়াচ্ছেন এক প্রৌঢ়। ধুতি উঠে যাচ্ছে। মাথায় হাত দিয়ে গড়াচ্ছেন আর বলছেন, ‘এবার কী হবে, এবার কী হবে…’। অফিসের আধিকারিক ও কর্মীরা দাঁড়িয়ে দেখছেন সেই দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিয়ো। মধ্যপ্রদেশের মান্দাসাউরে কালেক্টরের অফিসের ছবি এটি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আসলে এক কৃষক। অভিযোগ, স্থানীয় মাফিয়াদের হাতে চলে গিয়েছে তাঁর জমি।

ওই কৃষকের নাম শঙ্করলাল। তাঁর দাবি, জমি মাফিয়ারা হাতিয়ে নেওয়ার পর বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। নিজের সম্বলটুকু চলে যাওয়ায় রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কালেকটরের অফিসে গিয়ে শুয়ে পড়েন ওই কৃষক, অফিসের বারান্দায় এদিক থেকে ওদিন গড়াগড়ি দিতে থাকেন, যদি কেউ তাঁর কথা শোনে।

সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করলে শঙ্করলাল হতাশা উগরে দিয়ে বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাকে হয়রান করে দিচ্ছে। তহশিলদারের ভুলেই এই অবস্থা হয়েছে আমার।’ সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তিনি। তিনি বারবার বলেন, কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জেলাশাসক দিলীপ যাদব জানান, যে সব ঘটনার পাবলিক হিয়ারিং হচ্ছে, সেগুলি সবই মিটে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও এমন অনেক অভিযোগ শোনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করলাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে জমির মালিকানা। মালিক হিসেবে নাম রয়েছে আনোখিলাল, ভগবান ভাই, রেশম ভাই, রামলাল, প্রভুলাল সহ বেশ কয়েকজন সদস্যের। ২০১০ সালে অর্ধেক জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল অশ্বিন নামে এক ব্যক্তির কাছে। তাতে অনুমোদন দেন তৎকালীন তহসিলদার। কিন্তু সেই জমি অশ্বিনকে দিতে চাননি রামলাল, প্রভুলালরা। এই নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।