Rajasthan video: স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চলছিল গণ-টোকাটুকি!

Rajasthan Vigilance squad: বুধবার (১৭ জুলাই), রাজস্থান শিক্ষা দফতরের এক ভিজিল্যান্স স্কোয়াড এই প্রতারণা হাতে নাতে ধরে ফেলেছে। নিট-ইউজি-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও অন্যান্য কারচুপির অভিযোগের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে চলছিল গণ টোকাটুকি।

Rajasthan video: স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চলছিল গণ-টোকাটুকি!
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jul 17, 2024 | 9:05 PM

জয়পুর: গণটোকাটুকি চলছিল। ভাববেন না, এক শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখছিল। খোদ শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে পরীক্ষার উত্তর লিখছিলেন। আর তা দেখে দেখে উত্তরপত্রে লিখছিল পরীক্ষার্থীরা। বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। ব্যবস্থা ভালই ছিল। যাতে আচমকা কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়তে না পারে, তার জন্য ওই কেন্দ্রের দরজায় তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। বুধবার (১৭ জুলাই), রাজস্থান শিক্ষা দফতরের এক ভিজিল্যান্স স্কোয়াড এই প্রতারণা হাতে নাতে ধরে ফেলেছে। নিট-ইউজি-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও অন্যান্য কারচুপির অভিযোগের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

এদিন ছিল রাজস্থান স্টেট ওপেন স্কুলের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা। রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে এলোমেলো অভিযান চালাচ্ছিল ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ওই দলটি। আর এভাবেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিল ডেচুর কোলু গ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের সামনে গিয়ে তাঁরা দেখেছিলেন স্কুলের দরজাগুলি তালাবদ্ধ। এতে তাঁদের সন্দেহ বেড়েছিল। স্কুলের পাঁচিল টপকে ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের সদস্যরা ঢুকে পড়েছিলেন শ্রেণীকক্ষে। তারপরই ধরা পড়ে ওই গণটোকাটুকির দৃশ্য।

ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন নিশি জৈন। তিনি জানিয়েছেন, ওই স্কুলে টোকাটুকি হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। নিশি জৈন বলেন, “পরীক্ষা করতে এসে আমরা দেখেছিলাম স্কুলের গেটগুলি তালাবদ্ধ। ফলে আমরা দেওয়াল টপকাতে বাধ্য হয়েছিলাম। তারপর আমরা দেখি, ছাত্রদের কপি করার জন্য শিক্ষকরাই ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে নগদ অর্থ ছিল। এক ছাত্রের কাছে ২,১০০ টাকা ছিল। আরেক ছাত্র শিকার করেছে, এক শিক্ষককে উত্তর বলে দেওয়ার বিনিময়ে সে ২,০০০ টাকা দিয়েছে।” ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, অনসূয়া এবং কোমল ভার্মা নামে বিজ্ঞানের দুই শিক্ষক এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁরা শুধু পরীক্ষার্থীদের উত্তরই বলে দেননি, অন্য পরীক্ষার্থীদের হয়ে ভুয়ো প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষাও দিচ্ছিলেন।

এই গণ হারে পরীক্ষা প্রতারণা হাতেনাতে ধরার পর, অবিলম্বে স্থানীয় পুলিশকে খবর দিয়েছিল ভিজিল্যান্স স্কোয়াড। পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে, ওই দুই শিক্ষককে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে, রাজস্থান শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ, রাজেন্দ্র সিং চৌহান-সহ ১০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছয় শিক্ষক এবং এক গ্রন্থাগারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। অধ্যক্ষ এবং পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।