বজ্রপাত-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস! তবু, এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ কৃষকরা

সীমান্তে এক্সরে মেশিন-সহ মোট ১০ টি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ওষুধের দোকান বসেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্দির, খুলেছে ৫০০ বইয়ের গ্রন্থাগারও।

বজ্রপাত-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস! তবু, এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ কৃষকরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 11, 2020 | 3:10 PM

নয়া দিল্লি: ১৬ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন (Farmer’s protest)। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। বারবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। কিন্তু এখনও অধরা রফাসূত্র। কৃষকদের সাফ কথা, প্রত্যাহার করতে হবে আইন। সংশোধনে চিড়ে ভিজবে না। বিক্ষোভকারী কৃষকরা এ-ও জানিয়েছেন, সরকার যদি তাঁদের দাবি না মেনে নেয় তাহলে রেল অবরোধের পথে হাঁটবেন তাঁরা।

লাগাতার ঠান্ডা পড়ছে দিল্লি সীমান্তে। তীব্র শীতেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। যত দিন বাড়ছে ততই বাড়ছে আন্দোলনরত কৃষকদের সংখ্যা। পঞ্জাব ও দিল্লিতে শুক্রবার বজ্রপাত-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কৃষকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনে ১ ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না তাঁরা। কৃষকরা জানিয়েছেন তাঁরা ট্রলির মধ্যে রাত কাটাবেন তবু আন্দোলনে ভাটা পড়তে দেবেন না।

কৃষক নেতা জগমোহন সিং পাতালিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা একটি জলরোধী তাঁবু পেতে পারেন। কিন্তু তা যদি নাও পাওয়া যায় তবু তাঁরা ট্রলিতে রাত কাটিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বৃষ্টি তাঁদের কাছে কোনও সমস্যাই নয়।

ইতিমধ্যে কৃষক আন্দোলন স্থলে পৌঁছেছে ওয়াশিং মেশিন, ওষুধ-সহ একাধিক চিকিৎসা সামগ্রী। সিঙ্ঘু সীমান্তে দুটি ওয়াশিং মেশিন নিয়ে পৌঁছেছেন লুধিয়ানার এক কৃষক। তিনি জানান, বিগত অনেক দিন ধরেই আন্দোলন চলছে। তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। বয়স্করা রয়েছেন। আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে বেশি জামা কাপড় নেই। তাই ফুটপাথে কাপড় কাচতেন তাঁরা। সেই সমস্যা দূর করার জন্যই ওয়াশিং মেশিন ও ড্রায়ার নিয়ে এসেছেন ওই কৃষক।

Farmers Protest

ছবি- পিটিআই

আরও পড়ুন: করোনা টীকাকরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ওড়িশা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ট্রাকে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। যার মাধ্যমে চার্জ হচ্ছে কৃষকদের ফোন। সেই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে রুটি তৈরি করার যন্ত্রে ঘন্টায় ১ হাজার রুটি তৈরি করছেন কৃষকরা। সেই খাবারই খাচ্ছেন কৃষকরা। আন্দোলনের স্থান থেকে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে একটি ছবি। যেখানে দেখা যায়, কৃষকরা চা দিচ্ছেন জওয়ানদের। সীমান্তে এক্সরে মেশিন-সহ মোট ১০ টি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ওষুধের দোকান বসেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্দির, খুলেছে ৫০০ বইয়ের গ্রন্থাগারও। সব মিলিয়ে কৃষকরা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন কেন্দ্রকে যে হাল ছেড়ে দেবেন না তাঁরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন।