Ayodhya Ram Mandir: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দোল, কীভাবে রঙ খেলবেন রামলালা?
Ayodhya Ram Mandir: রামলালাকে সাক্ষী রেখেই এবারের দোল খেলতে চান তাঁরা। গোটা অযোধ্যা মেতে উঠেছে আনন্দে। ভক্তদের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে রামলালার মন্দিরে এই বছর অত্যন্ত জমকালোভাবে উদযাপন হতে চলেছে দোলযাত্রা।
অযোধ্যা: রামের ঘরে ফেরার পর প্রথম দোল উৎসব। স্বাভাবিকভাবেই রঙের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায় অযোধ্যাবাসী। তবে শুধু অযোধ্যাবাসীই নয়, সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্ত দোল উৎসব উদযাপন করতে এসে পৌঁছেছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে। রামলালাকে সাক্ষী রেখেই এবারের দোল খেলতে চান তাঁরা। গোটা অযোধ্যা মেতে উঠেছে আনন্দে। ভক্তদের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে রামলালার মন্দিরে এই বছর অত্যন্ত জমকালোভাবে উদযাপন হতে চলেছে দোলযাত্রা। প্রসঙ্গত, ২৫ মার্চ গোটা দেশে পালিত হবে দোল উৎসব। তার আগের রাতে, অসুর হোলিকার প্রতীকি দহনের উৎসব, হোলিকা দহন।
চলত বছরেই রামলালার এই নতুন মন্দিরে প্রথমবার দোল উদযাপন করা হবে। শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, দোলযাত্রা উপলক্ষে ভগবান রামের জন্য দুর্দান্ত উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দোল উদযাপনের অংশ হিসাবে রামলালাকে রঙিন আবির, রঙ, বিভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দেওয়া হবে। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, “এই বছর অযোধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে দোল উৎসব পালিত হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পর থেকে রাম মন্দিরে যেভাবে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য। দোলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
আচার্য সত্যেন্দ্র দাস আরও বলেছেন, এই বছর দোলের দিন রামলালাকে কচুরি, গুজিয়া, পুরি, খির ও হালুয়া খেতে দেওয়া হবে। পুজোর পর, সেই সকল খাবার-দাবার ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হবে। তিনি বলেছেন, “দোলের দু’দিন আগে থেকেই মানুষ উদযাপনে মেতেছেন। একে অপরকে রঙ মাখানো শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর, রাম মন্দিরে এবার জমকালো ভাবে দোল উদযাপনের আয়োজন করবে রাম মন্দির ট্রাস্ট।” অযোধ্যায় দোল উদযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তি এবং ভক্তদের ছবি শেয়ার করেছে ট্রাস্ট। সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “শ্রীরাম লালার সিংহাসনে আরোহনের পর, প্রথম হোলিকোৎসবকে ঘিরে উত্তেজিত ভগবান এবং তাঁর ভক্তরা৷”