BJP: শুভেন্দু-দিলীপ জান লড়িয়ে দিলেও এই নেতাদের জন্য ডুবছে দল, মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক
BJP: আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মনোজ কুমার ওরাওঁ। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, এই পরিবেশে দলের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না তিনি।

আলিপুরদুয়ার: বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আলিপুরদুয়ারে কি গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে? রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর বছরখানেক বাকি। আলিপুরদুয়ারে একুশের নির্বাচনের ফল কি ধরে রাখতে পারবে পদ্ম শিবির? এই আশঙ্কার কথা তুলছেন আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাওঁ। রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপির সব পদ ছাড়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে মনোজ কুমার ওরাওঁকে। এমনকি বিধানসভার সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে তাঁকে মার্শাল দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেন অধ্যক্ষ। সেই মনোজ কুমার ওরাওঁ মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলিপুরদুয়ারের বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে দাবি জানাতে দিল্লি গিয়েছেন উত্তরবঙ্গের ১০ বিজেপি বিধায়ক। ওই দলে থাকার কথা ছিল মনোজেরও। কিন্তু, তিনি দিল্লি যাননি। সেই মনোজ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ বাংলায় পরিবর্তন আনতে জান প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছে। কয়েকজন নেতৃত্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কয়েকজন সাধারণ কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করে ও তাদের পছন্দের বিরুদ্ধে চাটুকারিতাকেই প্রধান্য দিচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বাচনে দলের রেজাল্ট খারাপ হলে এর দায় তাদেরই নিতে হবে।”
এই খবরটিও পড়ুন




আলিপুরদুয়ার জেলায় পাঁচটি বিধানসভা আসন রয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনই পায় বিজেপি। পরে আলিপুরদুয়ার আসনে জয়ী সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলের যোগ দেন। আবার মাদারিহাট আসনে জয়ী মনোজ টিগ্গা চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ার পর বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। গত বছরের নভেম্বরে মাদারিহাট আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির খারাপ ফলের আশঙ্কা করছেন মনোজ কুমার ওরাওঁ।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মনোজ কুমার ওরাওঁ। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, এই পরিবেশে দলের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না তিনি। বিজেপির একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন।
কুমারগ্রামের বিধায়ক যখন দলের একাংশকে তোপ দাগছেন, তখন আলিপুরদুয়ারে জেলা সভাপতি নির্বাচন নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজেপি। এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির জেলা সভাপতি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। নতুন সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, বিজেপির ২৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ঘোষণা হলে আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও সভাপতি ঘোষণা হয়নি। এই আবহে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বললেন মনোজ কুমার ওরাওঁ।
কুমারগ্রামের বিধায়কের এই পোস্টের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি কি এবার তৃণমূলে যোগ দেবেন? এই নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মনোজ তৃণমূলে যোগ দেবেন না। পারিবারিক কারণে দিল্লিতে আসতে পারেননি জানি। উনি অত্যন্ত দক্ষ কার্যকর্তা। উনি বিধানসভাতেও অনেক সামনের সারিতে থাকেন। দলের তরফে নিশ্চয়ই ওঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। আমার যেহেতু বন্ধু স্থানীয়, সেকারণে আমিও ওঁর সঙ্গে কথা বলব।”





